Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ১৬ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ২ ১৪৩২

প্রকাশিত: ১৩:৪৬, ২৮ জুন ২০১৯
আপডেট: ১৬:১৩, ২৮ জুন ২০১৯

প্রোটিয়াসদের বোলিংয়ে ধরাশায়ী শ্রীলঙ্কা

আইনিউজ ডেস্ক:  প্রোটিয়াসদের তোপে ৪৯.৩ বলে ২০৩ রানেই গুটিয়ে গেল লঙ্কানরা। প্রথম বলেই গেল উইকেট, এরপর থেকেই ব্যাটসম্যানরা শুরুতে ধুঁকলেন, এমন অবস্থা যে রান করাই দায়। শ্রীলঙ্কার ৪ থেকে ৭ নম্বর ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল যথাক্রমে ৪৫.০৯, ৩৭.৯৩, ৫৮.৫৩, ৩৯.১৩। তারা চাপে পড়েছেন, সে চাপ আলগা করতে গিয়ে শট খেলেছেন, সে শটে হয়েছেন আউট। শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের চিত্র ছিল মোটামুটি এমনই। টসে জিতে বোলিং নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা এর চেয়ে ভাল শুরু আশা করতে পারত না। কাগিসো রাবাদার শর্ট অফ আ লেংথ বলটা যেন দেখতেই পাননি দিমুথ করুনারত্নে, শেষ মুহুর্তে ব্যাট নামিয়ে এনে এজড হয়েছেন, যে ক্যাচ গেছে তৃতীয় স্লিপে। রিভারসাইডের কঠিন উইকেটে আভিশকা ফার্নান্ডো ও কুসাল পেরেরা এরপর শুরু করলেন প্রতি-আক্রমণ।  প্রায় প্রতি ওভারেই আসছিল বাউন্ডারি, রান উঠছিল ছয়ের ওপর। তবে এমন উইকেটে ব্যাটসম্যানের ভুলে সুযোগ কম, আর অতি-আক্রমণ ভুলের সম্ভাবনা বাড়িয়েই দেয় শুধু। ফার্নান্ডোর হলো সেটাই। দশম ওভারে প্রিটোরিয়াসকে দুই চারের পর তুলে মারতে গেলেন মিড-অনের দিকে, ক্যাচ গেল মিড-অফে ডু প্লেসির হাতে। তাদের ৬৭ রানের জুটিই হয়ে আছে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের একমাত্র সুখস্মৃতি। পেরেরা এরপর হয়ে পড়লেন সাথি হারা সারথী, প্রিটোরিয়াসের পরের ওভারে তিনিও করলেন ভুল। ব্যাক অফ আ লেংথ বলটায় দ্বিধায় ভুগছিলেন যেন শট খেলা ও ডিফেন্ড করার ক্ষেত্রে, শেষ মুহুর্তে ব্যাট চালিয়ে বলকে ডেকে আনলেন স্টাম্পে। ফার্নান্ডো ও পেরেরা-- দুজনই করলেন ৩০ রান করে, মেরেছেন ৪টি করে চার। তবে তাদের দ্রুত ফেরার পর থেকেই চাপ বাড়ছিল দুই নতুন ব্যাটসম্যান কুসাল মেন্ডিস-অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ওপর। তিনেরও নিচে ছিল রানরেট। মরিসকে একটা বাউন্ডারি মেরে সে চাপ আলগা করার ইংগিত দিয়েছিলেন ম্যাথিউস, তবে সে ওভারেই মরিসকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বলকে স্টাম্পে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। এরপর গেলেন মেন্ডিসও। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে তার জুটি টিকলো মাত্র ১১ রানের জন্য, প্রিটোরিয়াসের লেংথ বল টেনে মারতে গিয়ে কাভার পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মেন্ডিস-ধনঞ্জয়ার জুটি তুলেছে ৯ ওভারে ২৪ রান। ডুমিনি এসেছিলেন, তাকে আক্রমণ করতে গিয়ে রিভার্স সুইপের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ডি সিলভার, প্রথমে বলেই তিনি হয়েছেন বোল্ড। ইমরান তাহিরকে যেন উইকেট না দেওয়ার পরিকল্পনায় নেমেছিল শ্রীলঙ্কা, তবে তাকে ছাড়া তারা উইকেট দিয়েছেন সবাইকেই। জিভান মেন্ডিস যেন হাবুডুবু খাচ্ছিলেন, প্রথম ৩৮ বলে তার রান ছিল ৫। এরপর ৭ বলে করেছেন ১৩, তবে মরিসের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। পেরেরা একটু স্বস্তি দিতে চেয়েছিলেন ২৫ বলে ২১ রান করে, তবে ফেহলুকওয়ায়োর বলে রাবাদার ডাইভিং ক্যাচে পরিণত হয়ে বেশি কিছু করতে পারেননি। ১৭ রান করা উদানা ও ৪ রান করা মালিঙ্গাকে এরপর যথাক্রমে ফিরিয়েছেন রাবাদা ও মরিস। রাবাদা নিয়েছেন ২টি, মরিস ৩টি। তবে প্রিটোরিয়াস ছিলেন ইনিংসে সেরা বোলার, ১০ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৩টি।   এসটি/ইএন
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়