প্রকাশিত: ১১:৫১, ১১ জুন ২০১৯
আপডেট: ১১:৫১, ১১ জুন ২০১৯
আপডেট: ১১:৫১, ১১ জুন ২০১৯
বেকার ও প্রবাসীবান্ধব বাজেট
আইনিউজ ডেস্ক: ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো বেকারদের ঋণ তহবিল, প্রবাসীদের জন্য বীমা সুবিধাসহ বেশকিছু জনকল্যাণমুখী উদ্যোগের প্রস্তাব করা থাকছে, যা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কোনো বাজেটেই ছিল না। এসব তথ্য জানান অর্থ মন্ত্রণালয়।
‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে এ বছরের বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এবারের বাজেট থাকছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকারের চেয়ে ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা বা ১৩ শতাংশ বেশি। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের এ বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের দাবির অবসান হবে এবার। প্রবাসীদের জীবন বীমা সুবিধার আওতায় আনার ঘোষণা থাকছে আগামী বাজেটে। এর আওতায় বীমাকারী মৃত্যুবরণ করলে, দুর্ঘটনাজনিত স্থায়ী ও সম্পূর্ণ অক্ষমতা বা পঙ্গুত্ববরণ করলে মূল বীমার শতভাগ পরিশোধ করার বিধান রাখা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের ভিত্তিতে দাবি পরিশোধ করার কথাও উত্থাপিত হবে।
সাধারণত মৃত্যুর ক্ষেত্রে বীমা সুবিধায় প্রিমিয়াম হার ও অঙ্ক বীমা-গ্রহীতাদের বয়সভেদে পার্থক্য হয়ে থাকে। তবে প্রবাসী কর্মীদের একটি গ্রুপ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে বীমা পরিকল্পটি বা পলিসিটি সহজীকরণের লক্ষ্যে বীমা-গ্রহীতাদের বয়স নির্বিশেষে অভিন্ন প্রিমিয়াম হার আরোপ করা হবে।
সূত্র থেকে জানা যায়, প্রবাসী কর্মীদের বীমা সেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের বীমা সুবিধার প্রয়োজনীয়তা, কর্মীদের আর্থিক সক্ষমতা, কর্মকালীন সম্ভাব্য ঝুঁকিসহ অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয় বিবেচনায় আনা হয়েছে। বীমার প্রকারভেদের ক্ষেত্রে বলা হয়, এ নীতিমালার আওতায় প্রবাসী কর্মীদের জীবন বীমা সুবিধা প্রদান করা হবে।
শিক্ষিত বেকার তরুণদের জন্য সুখবর থাকছে অর্থ বছরের এ বাজেটে। বেকার তরুণরা যাতে সহজে ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হতে পারেন, সেজন্য ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ নামে একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হচ্ছে। যাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, যেসব শিক্ষিত যুবক ব্যবসা শুরু করতে চাইবেন, তাদের প্রাথমিক পুঁজি সরবরাহ করা হবে এই তহবিল থেকে। দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের জন্য সবসময় বরাদ্দ দেয়া হলেও বাজেটে তরুণদের জন্য সরাসরি সহায়তার এমন উদ্যোগ এবারই প্রথম।
বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, কীভাবে প্রস্তাবিত ফান্ড পরিচালনা করা হবে, টাকার পরিমান, ঋণ হিসেবে দেয়া হবে নাকি অনুদান দেয়া হবে- এসব বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে। ওই নীতিমালার ভিত্তিতে এই সুবিধা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাজেট ঘোষণার পর এটি চূড়ান্ত করা হবে। প্রাথমিকভাবে আসন্ন বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। পরে চাহিদা বাড়লে টাকার অঙ্ক আরও বাড়ানো হবে।’
চরম দারিদ্র্য নিরসনে সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্র বাড়ানো হচ্ছে। ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে কৃষকের জন্য চালু করা হবে শস্যবীমা। প্রাথমিকভাবে একটি জেলাকে বেছে নেয়া হবে। পরবর্তী সময়ে এটি ছড়িয়ে দেয়া হবে সারাদেশে।
গ্রামের মানুষকে জীবনের তাগিদে যেন শহরে ছুটতে না হয়, সেজন্য গ্রামবান্ধব কর্মসূচিতে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী বাজেট এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে যা সাধারণ মানুষকে স্পর্শ করবে। নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ থাকবে।’
এসটি/ইএন
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের
সর্বশেষ
জনপ্রিয়