Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ১২ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ১২ জুন ২০১৯
আপডেট: ১৬:৪৩, ১২ জুন ২০১৯

হত্যার পর প্রেমিকার নিথর দেহ ধর্ষণ

আই নিউজ ডেস্ক: প্রতিবন্ধী সাবিনা আক্তার। জীবনসঙ্গী করার স্বপ্নে সরল বিশ্বাসে প্রেম করেন সাইফুল ইসলামের সাথে। নতুন ঘর বাঁধার স্বপ্নে প্রেমিক সাইফুল ইসলামের হাত ধরে ঘরও ছেড়েছিল সাবিনা। কিন্তু কে জানত তাঁর এই ঘর ছাড়া প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়াবে? ঘর থেকে বের হবার সময় সাবিনার ভ্যানিটি ব্যাগে ছিল নতুন আয়না-চিরুনিসহ সাজগোজের নানা জিনিসপত্র। কিন্তু সাইফুলের মনে ছিলনা ঘর বাঁধার স্বপ্ন। ছিল ভিন্ন উদ্দেশ্য। প্রেমিকের আড়ালে লুকনো ছিল এক ভয়ঙ্কর খুনি। সেই প্রেমিকের আড়ালে লুকনো খুনির হাতেই নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে সাবিনা আক্তারকে। সাইফুল মেয়েটিকে হত্যা করেই থামেনি, তার নিথর দেহটিকেও ধর্ষণ করেছে। এই ঘটনার ছয় দিন পর নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর সাবিনা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার শিবপুর থানার কলেজ গেট এলাকা থেকে সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক কাজী শামসের আহম্মেদ। র‌্যাব জানায়, গত ৬ জুন শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী সাবিনা আক্তারকে একই উপজেলার দুলালপুর (খালপাড়) গ্রামের প্রেমিক সাইফুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে। পরে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা করে তাকে স্থানীয় কাজীরচর পূর্বপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সাবিনা বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুল নিজের জামা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে নিহত সাবিনাকে ধর্ষণ করে লাশ কলাবাগানে ফেলে তার মোবাইল ফোন ও ভ্যনিটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় সাইফুল। গত ৮ জুন স্থানীয়রা কলাবাগানে লাশ দেখতে পেয়ে শিবপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। র‌্যাব আরও জানায়, ওই ঘটনায় সাবিনার মা বাদী হয়ে শিবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ঘটনাটি জেনে র‌্যাব স্বপ্রণোদিত হয়ে এর তদন্তে নামে। র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহকারী পুলিশ সুপার (এসসপি) আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হলে খুনি হিসেবে সাইফুলকে শনাক্ত করা হয়। পরে মঙ্গলবার শিবপুর থানার কলেজগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার দেখানো মতে, তার বাড়ির বাথরুম থেকে সাবিনার মোবাইল ফোন এবং বাড়ির পাশের একটি নর্দমা থেকে ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এসসপি) আলেপ উদ্দিন আরো বলেন, বিষয়টি খুবই মর্মস্পর্শী। মেয়েটি সরল মনে সাইফুলের সঙ্গে সংসার করতে গিয়েছিল। তার ব্যাগে ছিল নতুন চিরুনি, আয়না। সাইফুল শুধু মেয়েটিকে হত্যা করেই থামেনি; নিথর দেহটিকেও সে ধর্ষণ করেছে।
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়