লাইফস্টাইল ডেস্ক
আপডেট: ১৭:৫৫, ৩১ মার্চ ২০২১
মিষ্টি কুমড়ার বীজের যত উপকারিতা

মিষ্টি কুমড়ার বীজ
খুব পরিচিত একটি সবজি মিষ্টি কুমড়া। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকরও। নানাভাবে এটি খাওয়া হয়। তবে আপনি কি জানেন, মিষ্টি কুমড়ার মতো এর বীজেরও রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ।
মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন ও আঁশ থাকে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশেন তাই প্রতিদিন এক কাপের চারভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৩০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে পরামর্শ দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে শারীরিক অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তাই মিষ্টি কুমড়ার বীজ ফেলে দিবেন না। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা সম্পর্কে-
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
এই বীজ পাকস্থলী, ফুসফুস, ব্রেস্ট, কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়
মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর জিংক। যা প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া সবল শিশু জন্মসহ বিভিন্ন রোগ নিবারণ করে।
ব্যথানাশক
আথ্রাইটিসের ব্যথা সারাতে উপকারী মিষ্টি কুমড়ার বীজ। জয়েন্ট পেইন দূর করতেও বেশ উপকারী এই বীজ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এই বীজে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটো ক্যামিকেল থাকে। এসব উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীর সুস্থ রাখে।
হাড়ক্ষয় রোধ
শরীরে জিংকের অভাব হচ্ছে হাড়ক্ষয় রোগের প্রধান কারণ। জিংকসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাদ্যের উত্স হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। মিষ্টি কুমড়ার বীজ হাড়ক্ষয় রোধ করে।
হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী
মিষ্টি কুমড়ার বীজে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে প্রচুর। এসব উপাদান হৃদযন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। এই বীজে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধ
মিষ্টি কুমড়ার বীজে আছে সেরোটোনিন নামের একটি নিউরো ক্যামিকেল, যা প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধ হিসেবে বিবেচিত। এতে ট্রিপটোফ্যান নামের একটি অ্যামাইনো অ্যাসিডও থাকে, যা শরীরে সেরোটোনিন তৈরি করে। এর ফলে এই বীজ খেলে ভালো ঘুম হয়। তাই ঘুমানোর আগে পরিমাণ মতো মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে উপকার পাবেন বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
এই বীজে জিংক আছে। গবেষণায় জানা গেছে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে ও প্রোস্টেটের সমস্যা দূর করতে জিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে ডাই হাইেড্রো এপি এন্ড্রোসটেনেডিয়ন নামের উপাদান থাকে, যা প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
মিষ্টি কুমড়ার বীজ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই বীজে ডাইজেস্টিভ প্রোটিন বেশি থাকায় তা ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখে।
ওজন কমায়
মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর প্রোটিন থাকে বলে এটি খেলে শরীরে শক্তি জোগায়। এতে আঁশ বেশি থাকে বলে এই বীজ খাওয়ার পর অন্য খাবার বেশি খাওয়ার আগ্রহ জাগে না। এ কারণে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থেকে শরীরের ওজন কমাতে পারেন আপনি।
চুল জন্মাতে সাহায্য করে
এই বীজে কিউকারবিটাসিন নামের একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা চুল জন্মাতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর, যা চুল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মিষ্টি কুমড়ার বীজের তেল মাথার তালুতে ব্যবহার করতে পারেন অথবা প্রতিদিন পরিমিত এই বীজ খেতে পারেন।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ কীভাবে খাবেন?
এত সব উপকার পেতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ সিদ্ধ করে খেতে পারেন। অথবা সালাদে, তরকারিতে এই বীজ যোগ করে খেতে পারেন। এছাড়াও স্মুদি বা সসের সঙ্গে মিশিয়েও এই বীজ খেতে পারেন।
আইনিউজ/এসডিপি
- ছেলেদের ইসলামিক আনকমন নাম অর্থসহ শিশুর নাম
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২২
- মেয়েদের ইসলামিক নাম ২০২৩
- সুন্দর বাচ্চা পিক ডাউনলোড
- ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস বাংলা
- শুভ সকাল রোমান্টিক মেসেজ | শুভ সকাল স্ট্যাটাস
- মাথা ন্যাড়া করার এই অপকারিতা জানেন কি?
- কাউনের চালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- অনেকেই জানেন না, সিগারেটের বাংলা অর্থ কী?