প্রকাশিত: ১৭:০০, ১৩ মে ২০১৯
আপডেট: ১৭:০৩, ১৩ মে ২০১৯
আপডেট: ১৭:০৩, ১৩ মে ২০১৯
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহতদের অধিকাংশই বাংলাদেশি তরুণ, ১৯ জন সিলেটের
লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার উপকূলবর্তী ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে নিহত ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এদের মধ্যে ১৯ জনই সিলেট বিভাগের। এরআগে সিলেটর ৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছিলো।
নিহতরা হলেন- সিলেটের জিল্লুর রহমান, সিলেট বিয়ানীবাজারের রফিক ও রিপন, সিলেট গোলাপগঞ্জের মারুফ, ফেঞ্চুগঞ্জের লিমন আহমেদ, আব্দুল আজিজ, আয়াত ও আহমেদ, সিলেট দক্ষিণ সুরমার জিল্লুর, সিলেটের আমাজল, সিলেটের কাসিম আহমেদ, সিলেট বিশ্বনাথের খোকন, বেলাল, রুবেল, সিলেটের মনির, সুনামগঞ্জের মাহবুব, নাদিম, মৌলভীবাজারের ফাহা, মৌলভীবাজার কুলাউড়ার শামিম, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার জয়াগ গ্রামের নাসির, ঢাকার টঙ্গীর কামরান, মাদারীপুর জেলার সজিব, শরীয়তপুরের পারভেজ, কামরুন আহমেদ মারুফ, কিশোরগঞ্জ জেলার আল-আমিন, জালাল উদ্দিন প্রমুখ।
[caption id="attachment_3601" align="alignnone" width="640"]
নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কয়েকজন। তিউনিসিয়ার একটি আশ্রয়শিবিরে। ১১ মে, তিউনিসিয়া। ছবি: এএফপি[/caption]
নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া শিশির বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ফোনে জানান, বেঁচে যাওয়া ৬ জনের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার নরিয়া থানার চারুগা গ্রামে। তারা হলেন, রাজিব, উত্তম, পারভেজ, রনি, সুমন ও জুম্মান।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগের দায়িত্বরত পরিচালক ইমাম জাফর শিকার বলেন, তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টে প্রাদেশিক প্রধান ডা. মাঙ্গি সিলাম এর মাধ্যমে জীবিত ৪ বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য মতে ২৭ জন বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এছাড়াও ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ৫ জনের মৃতদেহ সোমবার সকাল পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নেভি ক্যাম্পে রয়েছে। তিনি বলেন, বেঁচে যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি, একজন মিসরীয় ও একজন মরক্কোর নাগরিক রয়েছে।
এদিকে নৌকাডুবিতে নিহত ও জীবিত বাংলাদেশিদের তথ্য আদান প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে দু'টি হটলাইন নম্বর : ৮৮-০২-৪৯৩৫৪২৪৬ ও ০১৮১১৪৫৮৫২১। ৪৯৩৫৪২৪৬ এই নম্বরটি অফিস চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এবং ০১৮১১৪৫৮৫২১ নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জাতীয় সদর দফতর, ৬৮৪-৬৮৬, বড় মগবাজার অথবা ৬৪টি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে আহত ও নিহতের স্বজনরা সরাসরি যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ ও রেড ক্রিসেন্টের সেবা নিতে পারবেন।

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের
সর্বশেষ
জনপ্রিয়