এজে লাভলু, বড়লেখা
আপডেট: ০০:০৪, ৬ জানুয়ারি ২০২২
এবাদতের গ্রামের বাড়িতে বইছে আনন্দের বন্যা

এবাদতের সাফল্যে পরিবারের সবাই মহাখুশি
অজোপাড়া গাঁয়ের ছেলে এবাদত হোসেন চৌধুরী। স্বপ্ন ছিল একদিন জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেটে খেলে দেশের মুখ উজ্জল করবেন। করেছেনও ঠিক তাই। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের মূল নায়ক এখন এবাদত হোসেন চৌধুরী। সবার প্রসংশায় ভাসছেন।
তাঁর গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির কাঠালতলী গ্রামে বইছে আনন্দের বন্যা। এবাদতের এমন পারফরমেন্সে পরিবারের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও ভীষণ খুশি। বুধবার বিকেলে সরেজমিন এবাদত হোসেন বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবাদত যে ইতিহাস রচনা করেছেন তাতে পরিবারের সবাই মহাখুশি।
আরও পড়ুন- এবাদত হোসেন চৌধুরী: নিউজিল্যান্ডের সাত উইকেট গুড়িয়ে দিয়েছেন মৌলভীবাজারের ছেলে
আলাপকালে এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ও মা সামিয়া বেগম চৌধুরী বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই খেলার প্রতি তার আলাদা টান ছিল। সারাদিন ক্রিকেট খেলত। তাঁর স্বপ্ন ছিল সে কোনো একদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলে দেশের মুখ উজ্জল করবে। আজ আমার ছেলে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে জিতিয়ে সে দেশের মুখ উজ্জল করেছে। আমাদের ছেলের এমন পারফরমেন্সে আমরাও খুশি। এলাকার মানুষও খুশি। আমরা তার সব খেলা দেখেছি। নামাজ পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য দোয়া করেছি। সকালে এবাদতের সঙ্গে আমাদের মুঠোফোনে কথা হয়েছে। সে খুব খুশি।
এবাদতের চাচাতো ভাই দেলওয়ার হোসেন চৌধুরী ইমন বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে সারা বাংলাদেশের মতো আমরাও গর্বিত, আনন্দিত। আমার ছোট ভাই এবাদত হোসেন চৌধুরী ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগী। আমাদের বিশ্বাস ছিল সে একদিন দেশের মুখ আলোকিত করবে। আজ সে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে।
আরও পড়ুন- নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
এবাদতের সহপাঠী আমজাদ হোসেন পাপলু ও এমদাদুর রাজ্জাক রাব্বি বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সে যে চমক দেখিয়েছে তাতে আমরা খুশি। এলাকার মানুষ ভীষণ খুশি। তাঁর জন্য আজ বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে। এলাকার সবাই তাঁকে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বর্ডার গার্ডে (বিজিবি) চাকরি করতেন। আর মা সামিয়া বেগম চৌধুরী পেশায় গৃহিনী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে এবাদত হোসেন চৌধুরী দ্বিতীয়। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তাঁর আলাদা টান ছিল। স্থানীয় বিভিন্ন ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছেন এবাদত। ভালো বোলিং করতেন বলে এলাকার বাইরেও তাঁর নামডাক ছড়িয়ে পড়ে। এসএসসি পাশ করে ২০০৮ সালে সৈনিক পদে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। সেখানেই চাকরির পাশাপাশি বিমান বাহিনীর নিয়মিত ভলিবল খেলতে শুরু করেন। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি তাঁর টান মোটেও কমেনি। ২০১৬ সালে রবি পেসার হান্টের শেষ রাউন্ডে ১৩৯.০৯ কিলোমিটার গতিতে বল করে সবাইকে চমকে দেন এবাদত। নজরে আসেন সবার। এরপর থেকে এবাদতকে আর পেছনে থাকাতে হয়নি। ২০১৯ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবাদতের অভিষেক হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই তাঁর টেস্টে অভিষেক হয়।
আইনিউজ/এজে লাভলু/এসডিপি
আইনিউজ ভিডিও
শীতের সকালেও ভোট কেন্দ্রে দলে দলে ছুটেছেন নারী-পুরুষেরা
রাজনগর উপজেলার তাহার লামুয়া নতুন ভোট কেন্দ্র, ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী
নৌকার বিজয় দেখছেন মনসুরনগরের মিলন বখত
- দুলাভাইয়ের ধর্ষণের শিকার শ্যালিকা
- মৌলভীবাজারের রাজনগরে
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বিধবা রুবির বিউটি পার্লার - `প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে আমাদের ধোকা দেওয়া হচ্ছে`
- রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে কমলগঞ্জে রাস উৎসব শুরু
- কমলগঞ্জে মাদকবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার