Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ৭ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ১৭ এপ্রিল ২০২২

হিজাব বিতর্কে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, প্রধান শিক্ষক কারাগারে

দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ।

দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ।

ন‌ওগাঁয় হিজাব নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির মামলায় এবার জেলহাজতে পাঠানো হলো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণকে।

আজ রবিবার (১৭ এপ্রিল) নওগাঁ আমলি আদালত-৩ (মহাদেবপুর)-এ হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. তাইজুল ইসলাম জামিনের আবেদন নাকোচ করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া দু'জন হলেন, এক‌ই উপজেলা সদরের বাসিন্দা মৃত কাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কিউএম সাঈদ টিটো ও কুশারসেন্টার পাড়া এলাকার বাসিন্দা কাজী ময়েন উদ্দিনের ছেলে কাজী সামছুজ্জোহা মিলন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।ওই রাতে টিটো এবং মিলনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ, কিউএম সাঈদ টিটো, কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহমুদুল হাসান সুমন ও জেলার পোরশা উপজেলার গহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা সালাউদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও আরো অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নওগাঁয় হিজাব ইস্যুতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ৭টি সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ ও সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আমোদিনী পাল হিজাবের কারণে নয়, নির্ধারিত স্কুল ড্রেস না পরার কারণেই শিক্ষার্থীদের মারধর করেছিলেন।

একই দিনে বদিউল আলম নামে আরেক শিক্ষকও মারধর করেছিলেন শিক্ষার্থীদের। অথচ প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করেন। এই ঘটনা তদন্ত কমিটির কাছে উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়েছে। শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া প্রতিবেদনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের প্রহার করায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ধরনী কান্ত, শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দীর্ঘদিনের ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব চলছিলো, যা গুজব ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়; গুজব ছড়ানোর পেছনে স্থানী কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী ও সাধারণ মানুষের নাম উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ মামলার এজাহার ভুক্ত অপর দুই আসামিকে ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপড়তা চালিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া মামলার তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনায় অপপ্রচারকারী এবং আরও কেউ জড়িত থাকলেও তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

সূত্রঃ ইত্তেফাক

আইনিউজ/এসডি

আইনিউজ ভিডিও

রমজানেও ব্যবসায় ডাকাতি, শ্রীমঙ্গলের ২-৩ টাকার লেবু ঢাকায় হয়ে যায় ২০ টাকা

রোজার বাজারে ২ কেজি মাংসে ৪০০ গ্রাম কম দিলেন ব্যবসায়ী, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

নয় বছরের মেয়েটি কিভাবে নেভায় একের পর এক আগুন?

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ