Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ৬ ১৪৩২

মো. হাবিবুল হসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী)

প্রকাশিত: ১৬:০১, ৮ অক্টোবর ২০২২

ডিমলায় প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

২১৭ টি প্রাথমিক স্কুল থেকে ২০ লাখ টাকার উপরে ঘুষ নিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ

২১৭ টি প্রাথমিক স্কুল থেকে ২০ লাখ টাকার উপরে ঘুষ নিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ

নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদের প্রকাশ্যে ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্তে দুটি কমিটি গঠন হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্তে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আলাদা আলাদা দুটি কমিটি গঠন হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যেই জেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অসুস্থ থাকায় তদন্ত কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। ফাইল তৈরি হচ্ছে। বিভাগীয় মামলাসহ তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের একটি তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মির্জা মুরাদ হাসান বেগ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। অপর তদন্ত কমিটির চিঠি এখনও হাতে পাননি বলে জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

গত ২৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  ভাইরাল হওয়া ভিডিও চিত্রে, নিজ অফিসে বসেই প্রকাশ্যে ঘুষের টাকা গুনে গুনে নিতে দেখা যায় শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদকে।

জানা গেছে, উপজেলার ৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতে বরাদ্দ এসেছে দুই লাখ টাকা করে। রুটিন মেইনটেন্যান্স বাবদ ৯৯টি বিদ্যালয় পেয়েছে ৪০ হাজার টাকা করে। স্লিপ বাবদ ৪০ হাজার টাকা করে পেয়েছে ২১৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব টাকা ৩০ জুন ২০২২ সালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বরে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ডিমলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ ৩০ জুনের মধ্যে একটি বিদ্যালয়ের টাকাও ছাড় করেননি।

টাকা ছাড়ের ক্ষেত্রে তিনি শর্ত দেন তিনি শর্ত দেন, মেরামতকাজের জন্য ৮৮টি বিদ্যালয়কে ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। পাশাপাশি স্লিপের টাকার চেকের জন্য বিদ্যালয়প্রতি ৫ হাজার, রুটিন মেইনটেন্যান্স চেকপ্রাপ্তির জন্য বিদ্যালয়প্রতি ৬ হাজার করে টাকা দিতে হবে।

সে অনুযায়ী উপজেলার ২১৭ টি প্রাথমিক স্কুল থেকে ২০ লাখ টাকার উপরে ঘুষ নিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ। ওই শিক্ষা কর্মকর্তা সরাসরি প্রধান শিক্ষকদের মোবাইলে ফোন করে নিজ অফিসে ডেকে ঘুষের এসব টাকা নেন।

তার অফিসে বসে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও এবং  শিক্ষকদের সাথে ঘুষ নিয়ে দর-দামের ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

আইনিউজ/এইচএ

আইনিউজে আরও পড়ুন-


দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি

দুর্গা পূজা, দেবী বরণে প্রস্তুত শারদ প্রাঙ্গণ | Durgapuja | Moulvibazar

বিশ্ব হার্ট দিবসে মৌলভীবাজারে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প || Eye News || National Heart Day || Moulvibazar

মৌলভীবাজারে মঙ্গলঘট নিয়ে নারীদের শোভাযাত্রা

মৌলভীবাজারে ১৬৩ মেধাবী শিক্ষার্থী পেলো অপটিমিস্টের সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা || Eye News

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ