Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

গাঁজা বিক্রিতে জড়িত থাকায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি!

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান।

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান।

নিজ হেফাজতে রেখে গাঁজা বিক্রির জন্য যশোরের চৌগাছা থানা পুলিশের সাবেক এসআই হাসানুজ্জামানের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। 

রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে যশোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এ আদেশ দেন। একই সাথে তিনি আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত হাসানুজ্জামান সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল সরদারের ছেলে। এ মামলায় অপর দুই আসামি কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল ইসলাম ও মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের মশিয়ার রহমান মশির ছেলে মো. শহিদকে খালাস প্রদান করা হয়।

আদালতের সরকারি আইনজীবী আফরোজা সুলতানা মামলার বরাত দিয়ে জানান, যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর ক্যাম্প পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা জানতে পারেন আসামি নাজমুল ও শহিদ এলাকায় গাঁজা বেচাকেনা করছেন। পরে পুলিশ সোর্স নিয়োগ করে গাঁজা কেনার জন্য। ওই সোর্স যোগাযোগ করে শহিদ ও নাজমুলের সাথে। 

২০২০ সালের ১৫ জুন ক্যাম্পের এসআই দিবাকর মালাকরের নেতৃত্বে একটি টিম সাদা পোশাকে পালপাড়া মোড়ে অবস্থান নেন। কিছুসময় পর সাবেক এসআই হাসানুজ্জামানসহ তিনজন দুইটি মোটরসাইকেলে পালপাড়া মোড়ে আসে। এসময় হাসানুজ্জামান এসআই দিবাকরের কাছে জিজ্ঞাসা করেন তারা ক্রেতা কিনা। 

এ সময় তার পিঠে থাকা ব্যাগে দুই কেজি ও মোটরসাইকেলে থাকা আরেকটি ব্যাগে এক কেজি গাঁজা রয়েছে বলে জানায় হাসানুজ্জামান। দিবাকর পুলিশ পরিচয় দিলেই শহিদ পালিয়ে যায়। আর নাজমুল ও হাসানুজ্জামানকে আটক করা হয়। এসময় হাসানুজ্জামানের জানান, তিনি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)। পরে তাদের কাছে থাকা ব্যাগ খুলে দেখা যায় পুলিশের পোষাকের মধ্যে মোড়ানো অবস্থায় গাঁজা রয়েছে। ওই পোশাকে হাসানুজ্জামানের নেমপ্লেট লাগানো ছিলো। এরপর হাসানুজ্জামান মাজা থেকে পিস্তল বের করার কথা বলে পুলিশের হাতে ব্যাগ দিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি যাচাই বাছাই শেষে হাসানুজ্জামানকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। এসময় নাজমুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি কেশবপুর থানার পরিদর্শক শেখ ওহিদুজ্জামান তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন।

আই নিউজ/এইচএ 

আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন

জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়