Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৩ ১৪৩২

মো. আজিজার রহমান, দিনাজপুর

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আপডেট: ১৫:৪৯, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

খানসামায় আগুনে পুড়ে ১৫টি পরিবারের বসতবাড়ী ছাঁই

দিনাজপুরের খানসামা উপজলোয় রান্না ঘরের আগুনে ১৫ টি পরিবারের প্রায় ২০ টি ঘরের মালামাল, আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে এবং আংশিকভাবে ৩টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, আগুনে ১১লক্ষ ৯৩ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

তবে খানসামা ফায়ার র্সাভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার নজরুল ইসলাম 'অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- ওই এলাকার খোকারাম ওরফে (হুটুম) এর ছেলে পরেশ, পরিমলের পুত্র কানাই, কানাইয়ের পুত্র জীবন, গোবিন্দ,শান্ত, মৃত দিনোনাথের পুত্র চন্দ্র ও তিলক রায়, পরেশ এর পুত্র উপেন, ছত্রমোহন এর পুত্র তাপস, কামিনী এর পুত্র খোকারাম এবং খোকারামের পুত্র সুবাস এ পরেশ, মৃত শরৎচন্দ্রের পুত্র গিরেন্দ্রনাথ এবং মৃত ঝাইয়া এর পুত্র চন্দ্রমহন ও সুনীল চন্দ্র।

৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানগড় গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ড এর তারাপদ পাড়ায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, আঙ্গারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ্। তিনি বলেন, আমি রাতের মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরেশ চন্দ নামের একজনের রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছিল। আগুন লাগার সময় তার পরিবারের সদেস্যরা ঘরের ভিতরেই ছিল। পরে প্রতিবেশী তিলক রায় ও জীবন আগুন দেখতে পায় চিৎকারে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বসত ঘর,রান্নাঘর, ঘরে থাকা সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং পরবর্তীতে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এবং খানসামা ফায়ার র্সাভিস স্টেশনের একটি ইউনিটের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
 
উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে আমরা তড়িৎ গতিতে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ীর পাশে একটি পুকুরে মেশিন লাগিয়ে উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসি। পরবর্তীতে খানসামা ফায়ার সার্ভিসের আরো একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় তখন দুই ইউনিট মিলে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তিনি আরো বলেন, এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কাম্য নয়। সকলরে সচতেনতাই পারে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে।

উল্লেখ্য, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১৫ টি পরিবারকে নগদ ২ হাজার করে মোট ৩০ হাজার টাকা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান  মন্ত্রণালয়েরপক্ষ থেকে ১৫ টি পরিবারের মাঝে ৩০টি কম্বল বিতারন করেন।

সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন, শফিউল আলম চৌধুরী লায়ন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশিদা আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক। এ ছাড়াও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. তমিজ উদ্দিন চাউল ৫ কেজি,আলু,তেল, মুড়ি বিতরণ করেন।

আই নিউজ/এইচএ 

আই নিউজ ভিডিও গ্যালারী 

নীলাদ্রি লেক আমাদের এক টুকরো কাশ্মীর | পাখির চোখে নীলাদ্রি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ