Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৪ ১৪৩২

মো. আজিজার রহমান, দিনাজপুর

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

তীব্র গরমে বাজারে বেড়েছে তরমুজের চাহিদা

তীব্র গরমে দেশজুড়ে বেড়েছে তরমুজের চাহিদা। ছবি- আই নিউজ

তীব্র গরমে দেশজুড়ে বেড়েছে তরমুজের চাহিদা। ছবি- আই নিউজ

দিনাজপুরের খানসামার ফলের দোকানগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ উঠছে। ফলের দোকানগুলোতে এসে তরমুজই বেশি কিনছেন ক্রেতারা। কয়েকদিন আগের তুলনায় বর্তমানে দাম স্বাভাবিক আছে। দাম স্বাভাবিক থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এই ফল। এদিকে আবহাওয়া তীব্র গরম হওয়ায় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার খানসামা , পাকেরহাট, কাচিনিয়াসহ বিভিন্ন বাজারে কিংবা সড়কের পাশে মৌসুমী ফল তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফলের দোকানগুলোতে আপেল, কমলা, পেয়ারা, বরইসহ বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি তরমুজও বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে।

ফল ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাজারে পতেঙ্গা, কুয়াকাটা, বরিশাল, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলা লিংক জাতের এই তরমুজ কিনে আনছেন তারা।

তরমুজ বিক্রেতা আবুল হোসেন ব্যাপারী বলেন, সারা বছর মৌসুমী ফলের ব্যবসা করি। এ অঞ্চলে তরমুজের চাষ তেমন হয় না। কয়েকটি এলাকাতে চাষ হলেও এই সময়ে বাজারে আসে না এই এলাকার তরমুজ । বরিশালসহ বিভিন্ন জেলা থেকে তরমুজ নিয়ে এসে পাইকারী ও খুচুরা  বিক্রি করি। এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদা বেড়েছে। এক মাসেও বেশি সময় ধরে তরমুজ  বিক্রি করছি। তবে এবার রমজান মাসে বেচাকেনা জমে উঠছে।

তিনি আরও জানান, বড় আকারের তরমুজ প্রতিকেজি ৪০ টাকা এবং ছোট আকারের তরমুজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পিস প্রতি খরচ বাদ দিয়ে ২০-৩০ টাকা করে লাভ থাকছে।

অটো চালক হালিম বলেন, চোখের সামনে নতুন ফল দেখে সন্তানের জন্য কিনতে ইচ্ছা হলেও কিছুদিন আগে দাম বেশি থাকায় কিনতে পারি নাই। বর্তমানে দাম স্বাভাবিক থাকায় কিনতে পারছি।

ফল বিক্রেতা ফাহিম হাসান বলেন, এখানে আমরা ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এই এলাকায় এসময় তরমুজ মেলে না। কাঁচা ফল লোকশানের ভয়ে অল্প লাভে ক্রেতাদের কাছে তরমুজ বিক্রি করে দিচ্ছি।

আই নিউজ/এইচএ

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ