Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৩ ১৪৩২

আইনিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

চাকরি পাচ্ছেন বগুড়ার সেই আলমগীর কবির

'শুধুমাত্র দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই'- বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া সেই আলমগীর কবির চাকরি পাচ্ছেন। বগুড়ার স্বপ্ন সুপার শপের আউটলেটে তার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।  

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান আলমগীর কবির। তার সঙ্গে কথা বলা শেষে চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

তিনি জানান, যোগ্যতা অনুযায়ী তাকে চাকরি দেবে স্বপ্ন সুপার শপ। তবে চাকরির পাওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি আলমগীর কবির।

আরও পড়ুন- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও দুই সপ্তাহ বাড়তে পারে

জেলা পুলিশ কার্যালয় সূত্র জানায়, আলমগীর কবিরের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলেন এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

এ বিষয়ে এসপি বলেন, আলমগীরের ওই বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করার জন্য তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। কথা বলে মনে হয়েছে তার চাকরি আসলেই প্রয়োজন। তবে এটাও ঠিক যে ওই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া হীন মানসিকতার পরিচয়। সে কথা তাকে বলেছি।

স্বপ্ন সুপার শপে আলমগীর কবিরের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোন পদে চাকরি হচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তার যোগ্যতা যাচাই করে পদ নির্ধারণ করা হবে।’

আরও পড়ুন- জানুয়ারিতে করোনায় মৃতদের ৭৩ শতাংশই টিকা নেননি

জানা যায়, বগুড়া শহরের জহুরুলনগরের আশেপাশের এলাকায় প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের গণিত ছাড়া সব বিষয় পড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন মি. কবির। শহরের বিভিন্ন দেয়ালে, ইলেকট্রিক খুঁটিতে দেখা যাচ্ছে সাদা এ-ফোর সাইজের কাগজে কালো কালিতে প্রিন্ট করা বিজ্ঞাপনটি।

বিজ্ঞাপনে তিনি লিখেছেন, পড়ানোর বিনিময়ে তিনি কোন অর্থ চান না। কেবল সকাল এবং দুপুর এই দুবেলা ভাত খাওয়াতে হবে এই হচ্ছে শর্ত।

সেই নম্বরে ফোন করে জানা যাচ্ছে, মি. কবির বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স পাস করেছেন। "মূলত খাবারের কষ্ট থেকেই বিজ্ঞাপন দিয়েছি", বলে জানান আলমগীর।

আরও পড়ুন- ক্যাম্পাসে ট্রাক চাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত

তিনি বলেছেন, "এই মূহুর্তে আমার একটি টিউশনি আছে। সেখানে রাতে পড়াই। তারা আগে নাস্তা দিত। পরে আমি তাদের বলেছি নাস্তার বদলে ভাত খাওয়াতে।" কিন্তু রাতে খাবারের সংস্থান হলেও সকাল আর দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা ছিল না।

"আমি টিউশনি করে পাই দেড় হাজার টাকা, সেটা দিয়ে হাতখরচ, খাবার, চাকরির পরীক্ষা দিতে যাওয়া---সব কুলিয়ে উঠতে পারছিলাম না। সেজন্য আমি যেখানে থাকি তার আশোপাশে টিউশনি খুঁজছি যেখানে আমার অন্তত দুইবেলা খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যায়," বলছিলেন মি. কবির।

দুই হাজার কুড়ি সালে স্নাতকোত্তর পাসের পর থেকে চাকরি খুঁজছেন তিনি, কিন্তু এখনো প্রত্যাশামাফিক চাকরি পাননি। বিজ্ঞাপন ফেসবুকে ভাইরাল হবার পর সান্ত্বনা দিয়ে অনেকে ফোন করেছেন তাকে। কেউ তাকে তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতে ডেকেছেন।

বিজ্ঞাপনের বিষয়টি ভাইরাল হলে আলমগীর কবিরের খোঁজ শুরু করে বগুড়া জেলা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মানবিক দিক বিবেচনায় আলমগীরের খোঁজ করা হয়।

আইনিউজ/এসডিপি 

আইনিউজ ভিডিও

কৃষক হালচাষ করে, উৎসবে মেতে পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়ায় ফিঙে পাখির দল 

মাসজুড়ে জমজমাট ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২২

ইউএনও সাবরিনার তৎপরতায় অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচলো বাড়িটি

Green Tea
সর্বশেষ