Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ৩ ১৪৩২

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

আদালতের শুনানির আগেই চেয়ারে নিপুন, ক্ষেপেছেন জায়েদ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদে আপাতত জায়েদ খান বা নিপুণ কেউই বসতে পারবেন না। বুধবার এমনই আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। সেদিন আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন উচ্চ আদালত। ফলে ১৩ ফেব্রুয়ারি ফুল বেঞ্চে শুনানির পরই জানা যাবে কে বসবেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদে।

কিন্তু ফুল বেঞ্চে শুনানির আগেই বৃহস্পতিবার সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসে পড়েছেন নিপুণ। সেখানে তিনি দলের বিজয়ী প্রার্থীদের নিয়ে ফটোসেশনও করেছেন। এমনকি, টেবিলে নিজের নামের নেমপ্লেটও বসিয়েছেন। এসবের ছবি ও ভিডিও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে ক্ষেপেছেন দুইবারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

বিস্ময় প্রকাশ করে অভিনেতা বলেছেন, ‘তারা কি আইন কানুনের ঊর্ধ্বে চলে গেছে? এটা কিসের বহিঃপ্রকাশ? ক্ষমতা? কোন ক্ষমতা বলে নিপুণ এসব করছেন, যারা সাধারণ মানুষ তারা একটু ভাবলেই বুঝবেন, গায়ের জোরে এসব করা হচ্ছে। যেমনভাবে শত শত বহিরাগত এনে কথিত আপিল বোর্ড বানিয়ে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন নিপুণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘মহামান্য আদালত একটা বিষয় নিয়ে আদেশ দিয়েছেন তারা সেটা মানছেন না। বুঝলাম না তারা কি আদালতের আদেশ বোঝেন না? আমি আর এই বিষয়ে কথা বলবো না, মহামান্য আদালত যা বলার বলবেন।’

উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত আদেশ না এলেও শপথ গ্রহণের পর থেকে শিল্পী সমিতির সবকিছুই চলছে চিত্রনায়িকা নিপুণের নির্দেশে। এরই মধ্যে সমিতির চেয়ার ও তালা-চাবি বদলানো হয়েছে। মূল ফটকের বাম পাশে খাঁচায় বন্দি কয়েকটি পাখি ছিল, সেগুলো নিপুণের নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, সিসি ক্যামেরার পাসওয়ার্ড পর্যন্ত পাল্টানো হয়েছে। এবার বসে পড়লেন চেয়ারেও।

এ বিষয়ে জানতে নিপুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে যথারীতি তাকে পাওয়া যায়নি। তবে কথা হয়েছে সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সায়মন সাদিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন। মানে নিপুণ আপার পক্ষে আদেশ দিয়েছেন। তাই তিনিই এখন সাধারণ সম্পাদক। আর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা- এটা আমরা নকল (আদেশ) দেখে বলতে পারবো।’

নির্বাচনের দিন থেকেই জায়েদ খানের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গে অভিযোগ করে আসছিলেন নিপুণ আক্তার। এই অভিযোগ তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়েও করেন। যেহেতু শিল্পী সমিতি এই মন্ত্রণালয়ের অধিনে নিবন্ধিত। পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দেন নিপুণের অভিযোগ তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিতে।

এরপর গত শনিবার এফডিসিতে মিটিং ডাকেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। এদিন বিকাল চারটায় শিল্পী সমিতিতে ওই মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে নিপুণ উপস্থিত হলেও জায়েদ খান যাননি। এমনকি শিল্পী সমিতির কার্যালয় পর্যন্ত খোলেননি। বাধ্য হয়ে খোলা মাঠে মিটিং করে আপিল বোর্ড। এরপর তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন। পরদিন শপথগ্রহণও হয়ে যায়।

এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেন জায়েদ খান। হাইকোর্ট নিপুণের পদ স্থগিত করে জায়েদকে তার পদে বহাল থেকে দায়িত্ব পালনের আদেশ দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আবার মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ। বুধবার শুনানি শেষে উচ্চ আদালত শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন।

কিন্তু ফুল বেঞ্চের সেই শুনানির আগেই বৃগস্পতিবার চেয়ার দখলে নিলেন নিপুণ। 

আইনিউজ/এসডি

আইনিউজ ভিডিও 

চার বছর মিশা ভাই আর আমি স্বামী-স্ত্রীর মতো ছিলাম: জায়েদ খান

এফডিসিতে আর হবে না নির্বাচন, পীরজাদা শহিদুল হারুনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যা বললেন পীরজাদা হারুন

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ