Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০২ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩২

ইমরান আল মামুন

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ১৪ জুলাই ২০২৪

সুশান্ত পালের ফেসবুক পেজ গায়েব

গতকাল রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিসিএস ক্যাডার সুশান্ত পালের ফেসবুকে পেজ। কি কারণে তার ফেসবুক প্রোফাইল সার্চ করেও পাওয়া যাচ্ছে না সে বিষয় নিয়ে আজকে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন। চলুন এখন আমরা তার সম্পর্কে কিছু তথ্য গুলো জেনে নেই। 

সুশান্ত পাল তিনি হচ্ছেন একজন বিসিএস ক্যাডার। ৩০ তম বিসিএসে তিনি সারা বাংলাদেশের মধ্যে সেরা হয়েছিলেন। তারপর থেকেই তিনি সারা বাংলাদেশে ধরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। অনেকে তাকে মোটিভেশনাল স্পিকার হিসাবে চিনেন। তার বিভিন্ন ধরনের মটিভেশন অনেক শিক্ষার্থীদেরকে অনুপ্রেরণা দেয়। তবে বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কাস্টমসের উপ-কমিশনার হিসেবে নিয়োজিত আছেন। বেশ কয়েক মাস আগে তাকে নিয়ে ব্যাপক পরিমাণে আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আবার নতুন আলোচনা এসেছে তাকে নিয়ে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করলে সেখানে উঠে আসে তার বাড়ি হচ্ছে চট্টগ্রামে। তার পিতা একজন আইনজীবী এবং মা একজন শিক্ষিকা। প্রথমে তিনি ব্যবসা করতেন এরপর কোচিং সেন্টার করেন। তারপরেই যাত্রা শুরু হয় তার বিসিএস প্রিপারেশন এবং অবশেষে তিনি ৩০ তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন। তবে যাই হোক এখন আমরা তার সাম্প্রতিক ঘটনার সম্পর্কে জানব। 

সুশান্ত পালের ফেসবুক পেজ গায়েব

কোটা বিরোধী আন্দোলন পূর্ববর্তী সময় থেকে চালু থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে সেটি আরো জোরালো হয়েছে। আর সে বিষয়টি ক্রমশ আরো গুরুতরভাবে রূপান্তর হচ্ছে। হাইকোর্ট থেকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা আসলেও তবুও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ জনগণরা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এ আন্দোলনে বেশ কয়েক জায়গায় পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনাও উঠে এসেছে। 

তবে যাই হোক সুশান্ত পাল অন্যতম একজন মোটিভেশনাল স্পিকার। তার ভক্ত রয়েছে প্রায় কয়েক লক্ষ। সবারই জানার আগ্রহ ছিল তার এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য। সবাই এবং তার ভক্তরা ভাবতে ছিলেন তিনি কোটাবিরোধী আন্দোলনের ব্যাপারে তাদের পক্ষ হয়ে কথা বলবেন। কিন্তু সে বিষয়টি না হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরো উল্টো। তিনি বলেছেন তাদের এমনিতেই চাকরি হবে না কোটা থাক বা না থাক। এছাড়াও তিনি বলেছেন যদি এ বিষয় নিয়ে তাকে ভালো না লাগে ব্লক করতে পারেন। আর সেই বিষয়গুলো নিয়ে খেপে গেছে তার ভক্তরা এবং সাধারণ মানুষেরা। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফলার কমেছে প্রায় কয়েক হাজার। এ বিষয় নিয়েও তিনি একটি ফেসবুকে পোস্টে করেন। 

কিন্তু এর পরিবর্তে তার প্রোফাইলে অনেকে একসঙ্গে রিপোর্ট করেন যার কারণে ফেসবুক পেজ গায়েব হয়ে যায়। গুগল অথবা ফেসবুকে সার্চ করেও তার প্রোফাইল এখন পাওয়া যাচ্ছে না। সেই বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে

Green Tea
বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়