Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৬ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ১৮ অক্টোবর ২০২১
আপডেট: ২৩:২৭, ১৮ অক্টোবর ২০২১

সবচেয়ে বেশি জরিমানা গুনলো দারাজ

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ না করা, মূল্য তালিকা না দেখানো, পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রতারিত করার অভিযোগ আছে দারাজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। প্রতারণার শিকার হওয়া গ্রাহকরা কোথাও প্রতিকার না পেয়ে দারাজসহ অন্যান্য ই-কমার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে। গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় সংস্থাটি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারে মামলা হয়েছে, একে একে তার শুনানি করা হয়। তাতে ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরিমানা গুনতে হয়েছে দারাজ বাংলাদেশকে। কেবল এই প্রতিষ্ঠানকেই সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে ২০১৮ সালের অভিযোগের জন্য দুটি বড় জরিমানা গুনতে হচ্ছে দারাজকে।

শুধু তাই নয়, একই অভিযোগ একাধিকবার প্রমাণ হওয়ায় দ্বিগুণ জরিমানা করার বিধান আছে ভোক্তা অধিকারের আইনে। এমন অভিযোগের কারণে দারাজের জরিমানার পরিমাণ বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকারের একজন কর্মকর্তা।

দারাজ ছাড়াও সহজকে ৬৮ হাজার টাকা, আজকেরডিলকে ৪৫ হাজার টাকা, চালডালকে ২৫ হাজার টাকা, ফুডপান্ডাকে ১৫ হাজার টাকা এবং পাঠাওকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অবশ্য ই-কমার্সের নামে প্রতারণার অভিযোগে ই-ভ্যালিসহ যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা কারাগারে আছে তাদের জরিমানা করার তথ্য পাওয়া যায়নি।

জরিমানা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো দারাজ বাংলাদেশ, আজকেরডিল, ডেইলি শপিং, অথবা, সহজ, পিকাবু, রকমারি, বইবাজার, বিডিশপ, ঘরবাজার, প্রিয়শপ, বিক্রয়.কম, ফুডপান্ডা, পাঠাও, চালডাল, ফালগুনি শপ এবং কিকশা।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের জন্য ই-কমার্স সংস্থাগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে।

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়