মুক্তাদির আহমেদ মুক্তা
আপডেট: ১৬:৩৩, ২২ জুন ২০২২
বন্যায় রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মডেল অনুসরণীয় হতে পারে

রাণীগঞ্জ আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো এক সপ্তাহের খাবার মজুদ আছে
প্রলয়কারী বন্যার শুরু হওয়ার পর সিলেট, সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ন এলাকার ন্যায় জগন্নাথপুরের রাণীগঞ্জ এলাকাও তলিয়ে যায়। স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে আশ্রয় নেন হাজারো মানুষ। আশ্রয়হীন মানুষরা তীব্র খাবার সংকটে পড়েন। সকলের বাড়ি-ঘরে পানি। কেউ কাউকে সাহায্য করার অবস্থায় নেই। এগিয়ে আসেন রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুস সামাদ। বিচক্ষণতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেক ব্রেড দিয়ে আশ্রিতদের পাশে দাঁড়ান।
খবর শুনে একজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ১২০০ বন্যার্তদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করেন। ফেইসবুকে স্কুলে রান্না করার ছবিসহ স্ট্যাটাস দেন প্রধান শিক্ষক সামাদ ভাই। এই স্ট্যাটাস দেখে দেশে - বিদেশে অনেকেই খাবার দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে নতুন নতুন ডোনার যুক্ত হতে থাকেন।
স্থানীয়রাও সম্মিলিতভাবে প্রতিদিনের দৈনন্দিন খরচ চালিয়ে নিচ্ছেন এবং যখন যা প্রয়োজন নিজেরা ম্যানেজ করছেন। এখনো এক সপ্তাহের খাবার মজুদ আছে। যেখানে বন্যা দুর্গত বিভিন্ন এলাকায় খাবারের জন্য হাহাকার সেখানে রাণীগঞ্জ আশ্রয় কেন্দ্র থেকে অন্যান্য এলাকায়ও খাবার সরবরাহ সম্ভবপর হচ্ছে।
তিনটি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন দুই বেলা ১২০০ বন্যার্তদের মধ্যে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। শিশু খাদ্য ও গবাদিপশুর খাদ্যও সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের কোথাও গরু জবাই করে বন্যার্তদের মধ্যে রান্না করে দেওয়া হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। রানীগঞ্জে আজ একটি গরু জবাই করে রান্না করা খাবার বন্যার্তদের দেওয়া হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্য পৃথক ব্যবস্থাপনায় হাঁসের মাংস রান্না করে সরবরাহ করা হবে। এই সমগ্র আয়োজনটি সম্পন্ন হচ্ছে একজন প্রবাসীর অর্থায়নে।
-
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট, নিত্যপণ্যের দাম চড়া!
- ১০ ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় উদ্ধার ঢাবি শিক্ষার্থীর
শুধু স্থানীয়রা নন হবিগঞ্জ, আউশকান্দি, শ্রীমঙ্গল,নবিগঞ্জ থেকেও অনেকে ডোনেশন করছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আরো কয়েকটি গরু খরচসহ দিয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রবাসী। স্থানীয়রাও সম্মিলিতভাবে প্রতিদিনের দৈনন্দিন খরচ চালিয়ে নিচ্ছেন এবং যখন যা প্রয়োজন নিজেরা ম্যানেজ করছেন। এখনো এক সপ্তাহের খাবার মজুদ আছে। যেখানে বন্যা দুর্গত বিভিন্ন এলাকায় খাবারের জন্য হাহাকার সেখানে রাণীগঞ্জ আশ্রয় কেন্দ্র থেকে অন্যান্য এলাকায়ও খাবার সরবরাহ সম্ভবপর হচ্ছে।
এটা সম্ভবপর হয়েছে এলাকার মানুষজনের সহযোগিতা, প্রবাসীদের অর্থায়ন আর দলমত নির্বিশেষে স্থানীয়দের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে। যেখানে অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো পর্যন্ত খাবার পৌঁছায়নি। সেখানে রাণীগঞ্জের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার দেওয়ার জন্য সিরিয়াল পাওয়া যাচ্ছে না।
এমন উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র। কেবল সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে যে কঠিন দুর্যোগও সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা যায় তার অনন্য উদাহরণ হতে পারে রাণীগঞ্জের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো। ত্রান তৎপরতায় রাণীগঞ্জ মডেল অনুসরনীয় হোক প্রতিটি এলাকায়। জয় হোক মানবতার। মানবিক উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়ুক চারপাশে।
মুক্তাদির আহমেদ মুক্তা লেখক ও সাংবাদিক, ( জেলা প্রতিনিধি, বিটিভি, সিলেট)
- বন্যা : উন্নতি হচ্ছে সিলেটে, ছড়াতে পারে শরীয়তপুর-ফরিদপুর-রাজবাড়ীতে
- কুলাউড়ায় সাপের কামড়ে ১ জনের মৃত্যু
আইনিউজ/এইচএ
নিরাপদ আশ্রয়ের খুঁজে ছুটছেন সিলেটবাসী | Sylhet Flood || Eye News
মৌলভীবাজারে বন্যা, জলমগ্ন টিবি হাসপাতাল রোড
Sylhet-Sunamganj Flood | ঘরে থৈ-থৈ পানি, নেই খাবার পানি, বিদ্যুৎ নেই, নেটওয়ার্ক নেই | Eye News
- করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ
- অভ্যাস বদলান: করোনা মুক্ত থাকুন
- মা দিবসের ভাবনা
- ধূসর ক্যানভাসে একজন ট্র্যাজিক হিরোর জীবন
- অনলাইন পাঠদান বাস্তবতা ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে করণীয়
- সংকট থেকে মহাসংকটে হাতি
- চারটি কৌশল বাস্তবায়ন করলে এ বাজেট ইতিহাসে রেফারেন্স হয়ে থাকবে