Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ১০ নভেম্বর ২০২৫,   কার্তিক ২৬ ১৪৩২

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:২৬, ২০ মে ২০২১
আপডেট: ০৯:৩৫, ২১ মে ২০২১

কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনার মৃত্যুতে অভিযুক্ত ৭

কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা মারা গেছেন গত বছরের ২৫ নভেম্বর। সেই থেকে তার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে চলছে তদন্ত। এবার ৭ জনের বিরুদ্ধে ম্যারাডোনাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত সবাই মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।

ম্যারাডনার মৃত্যুর পর তার চিকিৎসায় নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ ওঠে। ম্যারডোনার মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত।

এ মাসের শুরুতে ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল জানায়, ম্যারাডোনা মৃত্যুর আগে অযত্নে ভুগেছেন। তার সুস্থতার জন্য দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক-নার্সরা যথেষ্ট সোচ্চার ছিলেন না। কিংবদন্তি ফুটবলারের চিকিৎসক দল ‘অনুপযুক্ত, যথেষ্ট নয় এবং যত্নহীন’ ছিল বলে অভিযোগ আনেন তারা।

যে সাতজনের বিরুদ্ধে ম্যারাডোনাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্নায়ু শল্যচিকিৎসক লিয়োপল্ডো লুক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্টিনো কোসাশভ এবং মনোবিজ্ঞানী কার্লোস ডিয়াজ রয়েছেন বলে খবর।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে, ৮ থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে অভিযুক্তদের।

১৯৬০ সালের  ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের শহর লানুসে জন্মগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার।

৮ বছর বয়সে ক্লাব পর্যায়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন ম্যারাডোনা। ১৯৭৫ সালে যোগ দেন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স ক্লাবে। টানা ৬ বছর এই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি। এর মাঝে ১৯৭৭-৭৯ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনা আন্ডার টোয়েন্টি দলের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন সাবেক এই ফুটবলার।

১৯৭৭ সালে জাতীয় দলে নাম লেখান দিয়াগো ম্যারাডোনা। জাতীয় দলের হয়ে ফিফা বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার চারটি আসরে অংশ নেন তিনি। ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার এই খেলোয়াড়ের নেতৃত্বেই ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ পায় আর্জেন্টিনা।

পোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেজাতীয় দলের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ক্লাবের হয়ে লড়েছেন আর্জেন্টিনার সাবেক এই খেলোয়াড়। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বোকা জুনিয়র্স, বার্সালোনা, নাছেন তিনি।

ম্যারাডোনাকে ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে বিতর্কিত এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের অন্যতম হিসেবে মনে করা হয়। ১৯৯১ সালে ইতালিতে ড্রাগ টেস্টে কোকেইন পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়ায় ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ইফিড্রিন টেস্টে আবারও ইতিবাচক ফলাফলের জন্য প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয় তাকে।

শত বিতর্ক সত্ত্বেও ফিফা বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় রয়েছেন ম্যারাডোনা।

আইনিউজ/এসডিপি 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়