Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ১০ নভেম্বর ২০২৫,   কার্তিক ২৫ ১৪৩২

স্পোর্টস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৫২, ১০ জুলাই ২০২১
আপডেট: ২১:৩৮, ১০ জুলাই ২০২১

কোপা আমেরিকা ফাইনাল ম্যাচ

মেসি নাকি নেইমার? কার হাতে উঠবে ট্রফি?

দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এই লড়াইকে ঘিরে বিশ্ব ফুটবল এখন আবেগের জোয়ারে ভাসছে। একদিকে লিওনেল মেসি, অন্যদিকে নেইমার। কার হতে উঠবে মহাদেশীয় এ টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক? সে উত্তর জানতে কৌতূহলী সবাই।

বিষয়টা ফুটবল বলেই এ কৌতূহল তৈরি করছে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল বলে কথা। যে দু দলের বৈরিতা চিরকালীন। আর বাংলাদেশে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মানেই তো ফুটবল ভক্তদের দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া।

নানা শঙ্কা আর অনিশ্চয়তার মাঝে যে টুর্নামেন্টের শুরু, তার শেষটা হতে যাচ্ছে ‘সুপার ক্লাসিকো’ দিয়ে। রবিবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। মারাকানায় মেসি-নেইমারদের শ্রেষ্ঠত্বের এ লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায়।

ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচটি ঘিরে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি তা আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমেও ঠাঁই পেয়েছে। তবে যুগটা সোশ্যাল মিডিয়ার। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণের আগে ভক্তদের উন্মাদনার চিত্রটা এখন সেখানেই ফুটে উঠছে বেশি। কখনো যে সেটা মাত্রা ছাড়াচ্ছে, কেই-বা তার খেয়াল রাখছেন!

সময়ের দুই তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমারকে নিয়ে তো ট্রলের শেষ নেই সেখানে। একে অপরকে ঘায়েল করতে ভক্তরা কত কি-না করছেন! এ থেকে বিবাদ, বিদ্বেষ এমনকি শত্রুতামূলক মনোভাবও গড়ে উঠছে। নিশ্চিতভাবেই মেসি-নেইমারও তা শুনলে মন খারাপ করতে বাধ্য।

আবার এটাও তো ঠিক, দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই যখন ফুটবল খেলার আনন্দ-উচ্ছ্বাস, তখন প্রতিপক্ষকে হুল ফোটানোর এমন মোক্ষম সুযোগ পেয়ে আর চুপ থাকা যায় কি করে।

করোনার কারণে ভেন্যু বদলে ব্রাজিলে বসে এবারের কোপার আসর। যেখানে আবার করোনা পরিস্থিতি মোটেও অনুকূলে ছিল না। তাই এই আসরের বিপক্ষে ছিলেন স্বয়ং ব্রাজিলিয়ানদেরই অনেকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য টুর্নামেন্টটি বিশ্ব জুড়েই আনন্দের রসদ জুগিয়ে গেছে করোনার এই ক্রান্তিকালে।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলকে ফাইনালে দাঁড় করিয়ে কোপাও যেন পূর্ণতা পেয়েছে। যে দলই জিতুক, সুন্দর একটা ফাইনালই এখন প্রকৃত ফুটবল প্রেমীর প্রত্যাশা।

আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল ভক্তরা হয়তো সেভাবে ভাববেন না। এক সময় বার্সেলোনায় খেলার সুবাদে মাঠের বাইরে মেসি ও নেইমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মাঠে নেমে তারাও কিছু সময়ের জন্য ভুলে যাবেন বন্ধুত্বের কথা।

পরিসংখ্যান কি বলছে?

পরিসংখ্যান বলছে, সব মিলে দুই দলের ১০৭ মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ব্রাজিল। ৪৩ ম্যাচে জিতেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ৩৯ ম্যাচে। ২৫টি ম্যাচ ড্র হয়। আর্জেন্টিনা অবশ্য কোপা আমেরিকা জিতেছে ১৪ বার, ব্রাজিল ৯ বার।

কোপার ফাইনাল এর আগেও বেশ কবার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণের সাক্ষী হয়েছে। চলতি শতকেও এর আগে দুবার মহাদেশিয় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটের জন্য সম্মুখ সমরে নেমেছে দু দল। তবে ২০০৪ এবং ২০০৭- দুবারই শেষ হাসি হেসেছে ব্রাজিল। ১৯৯৩ কোপা আমেরিকা জয়ের পর আর্জেন্টিনা তো আর মেজর কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপাই পায়নি। ২০১৫ ও ২০১৬- পর পুর দুবার কোপার ফাইনালে ওঠেও আক্ষেপে পুড়েছেন মেসি। অভিমানে তো জাতীয় দলকে বিদায়ও বলে দিয়েছিলেন একবার।

সবশেষ ২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালেও আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় ব্রাজিল।

এবারের ফাইনাল মেসির জন্য এসব না পারার হাহাকার ঘোচানোর। এত এত অর্জন যার ক্যারিয়ারে, সেই জাদুকরের কি-না দেশের হয়ে একটা ট্রফি নেই। মেসিকে সফল হতে হলে বন্ধু নেইমারকে কাঁদাতে হবে। কিন্তু নেইমারও তো দেশের হয়ে একটা ট্রফি চান।

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়