Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০২ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ২০ জুন ২০২৪

মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

জেলার সাতটি উপজেলার ৪৭ টি ইউনিয়নের ৪৭৪ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ছবি- আই নিউজ

জেলার সাতটি উপজেলার ৪৭ টি ইউনিয়নের ৪৭৪ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ছবি- আই নিউজ

মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মৌলভীবাজারে মনু নদীর চাঁদনীঘাট সংলগ্ন এলাকায় বিপদসীমার ৪২ সে.মি উপর দিয়ে বইছে নদীর পানি। 

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সাতটি উপজেলার ৪৭ টি ইউনিয়নের ৪৭৪ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২ লাখ ৮২ হাজার মানুষ। 

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, ধলাই, কুশিয়ারা, মনু নদীর দুই এক জায়গা ছাড়া বাকি সব পয়েন্টেই পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এরমধ্যে, মৌলভীবাজার সদরে মনুর চাঁদনীঘাট পয়েন্টে ১১.৪২ সে.মি উপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমা থেকে ৪২ সে.মি বেশি। ধলাই পয়েন্টে ১৪.৯৪ সে.মি দিয়ে পানি বইছে। ধলাইয়ে নদীর পানি কমছে।

কমলগঞ্জ  সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ ও মুন্সিবাজার ইউনিয়নের খুশালপুর মাধবপুর ইউনিয়নের ধলাইপাড় গ্রামে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের তিনটি স্থান ভেঙে গেছে। বাঁধের ভাঙনকবলিত স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ৪০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আরও দশটি স্থানে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

তবে, কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে এখনো বিপদসীমার নিচে নামেনি নদীর পানি। সবশেষ তথ্যানুযায়ী শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সে.মি উপর দিয়ে বইছে কুশিয়ারা নদীর পানি। জুড়ী নদীতেও পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকার সড়ক। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি ও দোকানপাট, মাছের ঘের। 

এদিকে, ঢলের পানি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই অঞ্চলের মানুষজন। অনেকেই তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র কিংবা উঁচু এলাকায় আত্মীয় স্বজনদের বাসায় ছুটছেন। নিম্নাঞ্চলের মানুষদের অনেকেই জানিয়েছেন, ঢলের পানিতে তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এখন নিরুপায় হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন তারা।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মৌলভীবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ২০৫টি অশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছেন ৬ হাজার ২৫৩ জন। আশ্রিতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৭০টি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ন্যা কবলিত এলাকায় জেলা ও উপজেলা প্রসাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। জি.আর চাল দেয়া হয়েছে ৪২২ মেট্রিকটন। জি. আর নগদ ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা, শুকনো খাবার ৪৬৫ প্যাকেট এবং রান্না করা খাবার ১২০০ প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।

আই নিউজ/এইচএ 

আরও পড়ুন
Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়