Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ২২ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৭ ১৪৩২

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ২৩ মে ২০২২
আপডেট: ১৮:২৫, ২৩ মে ২০২২

সুনামগঞ্জে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু দুর্ভোগ বাড়ছে। আশ্রয় কেন্দ্রের লোকজন বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। আকাশে দু’দিন ধরে কিছুটা রোদের দেখা মিলছে। বন্যার্তদের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি। এভাবে আরো কয়েকদিন বর্ষণ না হলে বন্যামুক্ত হবে সুনামগঞ্জ।

দুর্গত এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বাড়িঘর থেকে পানি নামছে। সড়কেও নেই পানি। চলাচল হচ্ছে স্বাভাবিক। তবে নি¤œ এলাকায় গ্রামগুলো পানিবন্দি হয়ে আছে। পানি নামলেও দুর্গন্ধ ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপরদিকে ডুবেছে মৎস্য খামারিদের স্বপ্ন। জেলার প্রায় ১২শত ৫০টি পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। মোট খামারিদের সাড়ে ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই ব্যাংকের ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন। সব হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা। রাস্তাঘাটের প্রায় ৪০০ কি: মিটার ক্ষতি হয়েছে। টাকার অংকে মোট দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানালো এলজিইডি বিভাগ। ১১শ’ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

তবে স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশী বলছেন। অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষতি হয়েছে অনেক এবং ঘরবাড়ি বিনষ্ট শত শত। সবকিছুর ক্ষতির পরিমাণ বন্যা পরবর্তী খতিয়ে দেখে নিরূপন করা হবে বলছেন জেলা প্রশাসক। এদিকে, কয়েকটি উপজেলায় পানি নামলেও জগন্নাথপুর, দিরাই ও শাল্লায় পানি কিছুটা বাড়ছে। সেখানে প্লাবিত হলে মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি রেখেছে প্রশাসন।

আলীপুর গ্রামের মাছ চাষি সিরাজ মিয়া ব্যাংক থেকে ঋণ ও ধারদেনা ৫টি পুকুরে ৫০ লাখ টাকার মাছ মজুদ ছিল। বানের পানিতে সব মাছ ভেসে গেছে। এখন তিনি চোখে অন্ধকার দেখছেন। রহিমা খাতুন বলেন, বন্যায় আমার ঘর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি বাবার বাড়িতে আছি। স্বামী অসুস্থ। কিভাবে ঘর মেরামত করি সেই চিন্তাই আছি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল নয়টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। এখানে বিপদসীমা ৭ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার নীচে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ১১ মিলিমিটার। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় ১৬৫ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
সুনামঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পানি কমতে শুরু করেছে। স্বস্তি মিলছে দুর্গতদের। ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। বন্যা পরবর্তী ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি তালিকা করে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ