Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ২২ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৭ ১৪৩২

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৩০ জুন ২০২২

বন্যায় বিপর্যস্ত জনপদ, কোরবানির হাট আছে, পশু নেই

আর মাত্র নয়দিন পরেই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎস কোরবানির ঈদ। এদিকে দ্বিতীয় দফার বন্যায় এখনো বিপর্যস্ততার মাঝেই আছে সিলেট-সুনামগঞ্জের বেশকিছু এলাকা। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমে রোদ ওঠায় বসেছে কোরবানির পশুর হাট। কিন্তু বন্যার কারণে নেই হাটের চেনা রূপ। মাত্র একটি গবাদি পশু নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে এক বিক্রেতাকে।  তবে এখনো জমেনি কোরবানির হাট। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে প্রভাব পড়েছে ঈদবাজারে।

বুধবার (২৯জুন) উপজেলা সদরের পৌরশহরের হেলিপ্যাড মাঠে কোরবানির প্রথম পশুর হাট বসে। বুধবার দুপুর ১২টায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাটে মাত্র একটি গবাদি পশু উঠেছে। পশু শূন্য হাট, ক্রেতা নেই। বিক্রেতাও নেই।

হাটে গরু নিয়ে আসা পৌর এলাকার ইকড়ছই পারুয়া বাড়ির কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, কিছুক্ষণ আগে গোয়ালঘরের একটি গবাদি পশু হাটে নিয়ে এসেছি। এখনো হাটে আর কেউ গরু নিয়ে আসেননি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়তো কিছুটা বাজার জমতে পারে। তবে আশানুরূপ হবে না। কারণ এখনো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বন্যার পানি রয়েছে। সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। মানুষ এখনো পানিবন্দি। এজন্য হাট জমবে না।

হাটের ইজারাদার মকবুল হোসেন ভূঁইয়া জানান, কোরবানি ঈদের প্রথম পশুর হাট আজ আমরা বসিয়েছি। বন্যার কারণে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতি কম। তবে বিকেলের দিকে কিছুটা জমতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন জগন্নাথপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। গত কয়েক দিনে উপজেলা সদরের উঁচু এলাকা থেকে বন্যার পানি কমলেও নিচু এলাকায় ধীরে ধীরে পানি নামছে। হাওরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। পানি কমার সঙ্গে বাড়ছে দুর্ভোগ। গত ১২ দিনেও স্বাভাবিক হয়নি সড়ক যোগযোগব্যবস্থা। ডুবে আছে অসংখ্য গ্রামীণ রাস্তাঘাট। এছাড়া বসতবাড়িতেও পানি রয়েছে। বন্যার কারণে এবারে ঈদে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেছেন স্থানীয়রা।

আইনিউজ/এইচএ

আইনিউজ ভিডিও

নিরাপদ আশ্রয়ের খুঁজে ছুটছেন সিলেটবাসী 

মৌলভীবাজারে বন্যা, জলমগ্ন টিবি হাসপাতাল রোড

 ঘরে থৈ-থৈ পানি, নেই খাবার পানি, বিদ্যুৎ নেই, নেটওয়ার্ক নেই 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ