Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৫,   কার্তিক ২২ ১৪৩২

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৫১, ৬ জুন ২০২০
আপডেট: ২১:৫৩, ৬ জুন ২০২০

মন খারাপ দূর করবে একবাটি দই

মন খারাপের সমাধান একবাটি দই। ভাবছেন কীভাবে? চকোলেটের মতো দই খেলেও মন ভালো হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে মন খারাপ কাটাতে একবাটি দই বেশ কার্যকরী।

মন খারাপের সময় একবাটি দই খেয়ে নিলেই দেখবেন মন খারাপ দূর হতে শুরু করেছে। মনের ভেতরে থাকা নানারকম দুঃখ তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে মস্তিষ্কে বেশ কিছু রাসায়নিকের ক্ষরণের ফলে নিমেষে মন ভালো হয়ে যাবে।

দিনে বা রাতে যেকোনো সময়ই দই খেতে পারেন। অনেকে আবার ভাবতে পারেন রাতে খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। কিভতু সত্যি কথা হলো সাধারণত রাতের বেলা দই খেলে শরীরের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না।

যাদের অল্পতেই ঠাণ্ডা লেগে যায় তারা সন্ধ্যার পর দই খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ দই খেলে শরীরে মিউকাস জমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সর্দি-কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।

দিনের বেলা খালি দই খাওয়া চলতে পারে, কিন্তু যদি রাতে দই খাওয়ার ইচ্ছে জাগে, তবে দইয়ের সঙ্গে অল্প চিনি বা গোলমরিচ মিশিয়ে তারপর খেতে হবে। এতে হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। ফলে গ্যাস্ট্রিকের ভয় কমবে।

দইয়ে উপস্থিত ল্যাক্টোব্যাসিলাস, সহজ কথায় উপকারী ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকা মাইক্রোবায়োমের চরিত্র বদলে দেয়। ফলে ডিপ্রেশন বা অবসাদ দূরে পালায়।

যখন মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, তখন আমাদের ডিপ্রেশন বা মন খারাপ হয়। সেইসময় সাহায্য করে দই। মন খারাপ করা হরমোনকে আক্রমণ করতে ‘ফিল গুড’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ধীরে ধীরে মন খারাপ কমতে শুরু করে।

মন খারাপের সময় শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের পরিমাণ কমে যায়। ফলে কাইনুরেনাইন নামে একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা স্ট্রেস লেভেলকে নিমেষে বাড়িয়ে দেয়। এই সময় যদি কোনোভাবে শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের মাত্রা বাড়ানো যায়, তাহলেই স্ট্রেস তো কমেই, সঙ্গে উৎকণ্ঠাও কমতে শুরু করে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে দই।

গবেষণায় দেখা গেছে, পাকস্থলিতে উপস্থিত মাইক্রোবায়োম মানসিক স্বাস্থ্যে ভালো-মন্দের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। মন বা মস্তিষ্কের সম্পর্ক ভালো রাখতে প্রতিদিন একবাটি দই থাকুক খাবারের তালিকায়। 

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়