Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৫,   কার্তিক ২২ ১৪৩২

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:২০, ১০ জুলাই ২০২০

করোনাকালে সহজলভ্য কিছু প্রোটিনযুক্ত খাবার

করোনার কারণে আমাদের খাদ্যাভাস অনেকটাই বদলে গেছে। কেননা করোনা প্রতিরোধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই বলছেন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে।

আমরা সবাই জানি, দেহের শক্তি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গেলে প্রথমেই প্রয়োজন আমিষ বা প্রোটিনযুক্ত খাবার। এই সকল খাবার যেমন মাংসপেশিকে উন্নত করে, তেমনি দেহে পুষ্টির অভাব দূর করে।

অনেকগুলো অ্যামিনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে প্রোটিন গঠিত হয়। এতে আছে সাড়ে ১৬ শতাংশ নাইট্রোজেন। প্রতিদিনের খাবারের চাহিদার ২০-৩০ শতাংশ প্রোটিন থেকে আসা উচিত। সব বয়সেই প্রোটিনযুক্ত খাবার প্রয়োজন।

অন্যদিকে করোনাকালে অনেকেই আর্থিক সংকটে আছেন। তাই সব সময় চিন্তা করতে হবে, প্রোটিনযুক্ত এমন ধরনের খাবারের কথা, যা সবার জন্য গ্রহণীয়, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী। তাই অর্থের কথা চিন্তা করে নিচে  কিছু সহজলভ্য প্রোটিনযুক্ত খাবারের নাম দেওয়া হলো-

ডিম

ডিম সালফারযুক্ত উচ্চ জৈবমূল্যের প্রোটিন অর্থাৎ এতে পর্যাপ্ত অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এ ছাড়া আছে লৌহ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি। ডিম রোগপ্রতিরোধে ভালো। ডিমকে আরও প্রোটিনযুক্ত করতে চাইলে ডিমে দুধ মিশিয়ে ওমলেট, পুডিং তৈরি করা যায়।

বাদাম

বাদাম প্রোটিনের ভালো উৎস। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বাদামের তুলনায় চিনাবাদাম সহজলভ্য ও দামে সস্তা। এতে আছে থায়ামিন, নায়ামিন, প্যানটোথেকি অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিন ও ম্যাগনেশিয়াম। বাদাম চর্বিযুক্ত খাবার। এটি মুখের ঘা দূর করে। ম্যাগনেশিয়ামের জন্য স্নায়ুতন্ত্রের ওপর ভালো কাজ করে এবং অবসাদ কমায়। যা এই সময়ের জন্য খুবই প্রয়োজন।

মাছ

ছোট–বড় সব মাছই প্রোটিন ও মেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ। এতে আছে অসম্পৃক্ত চর্বি। মাছে আছে সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস—যেগুলো রোগপ্রতিরোধে সাহায্য করে। আবার দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগে মাছ বেশ উপকারী। মাছের তেলে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি, যা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ডাল

সহজলভ্য প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডাল অন্যতম। দুই–তিন ধরনের ডাল মিশিয়ে খেলে মাংসের অভাব অনেকখানি পূরণ হয়। মসুর ডালে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে। ডাল রান্না ছাড়াও ডালের হালুয়া, ডালের বড়া, অথবা বেসন দিয়েও বিভিন্ন ধরনের নাশতা বানিয়ে খেলে প্রোটিন পাওয়া যাবে।

খিচুড়ি

চাল-ডাল-তেল দিয়ে তৈরি খিচুড়ি খুবই ক্যালরিবহুল, প্রোটিনসমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার। এটা সব বয়সে খাওয়া যায়। খিচুড়ি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

দুধ

দুধ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন এক কাপ দুধ অথবা দুধের তৈরি খাবার খেতে পারলে ভালো হয়। বাচ্চাদের দেওয়া যাবে দুধ-সুজি, পায়েস, দুধ–সেমাই, দুধ-মুড়ি, দুধ-খই, দুধ-ভাত, দুধ-চিড়া ইত্যাদি। দুধে আছে ক্যাজিন ও ল্যাকেটান অ্যালবুমিন। দুটোই প্রোটিন। দুধের পরিবর্তে দইও খাওয়া যাবে।

তাই করোনার সময় প্রোটিন বা আমিষযুক্ত খাবার খেতে হবে বলে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব প্রোটিন খেলে এবং সারা দিনের খাবারটি সুষম হলেই চলবে।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়