লাইফস্টাইল ডেস্ক
আপডেট: ০৯:৪৫, ১৮ মে ২০২১
দীর্ঘ কর্মঘণ্টায় বছরে মারা যাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ মানুষ: গবেষণা
দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে বছরে গড়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন এক গবেষণা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গেনাইজেশনের (আইএলও) যৌথ উদ্যোগে করা এ গবেষণা থেকে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে স্ট্রোক ও অন্যান্য হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এ বিশাল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল নামক জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়, ২০১৬ সালে সারাবিশ্বে দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে সৃষ্ট রোগে সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষরা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের ৭২ শতাংশ পুরুষ।
ওই গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ৫৫ কর্মঘণ্টা বা তার বেশি যারা কাজ করেন তাদের ৩৫ থেকে ৪০ কর্মঘণ্টা কাজ করা কর্মীদের চেয়ে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেশি। এবং অন্যান্য হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি ১৭ শতাংশ বেশি। দীর্ঘ কর্মঘণ্টায় কাজ করার ফলে মধ্যবয়েসি ও বৃদ্ধদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।
গবেষণায় বলা হয়, ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ কর্মঘণ্টা কাজ করার ফলে স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ক্রমাগত বাড়ছে। ১৬ বছরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ৪২ শতাংশ বেড়েছে। আর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ১৯ শতাংশ।
গবেষণাটির ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর ও চলতি বছরে এ অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। কেননা এসময় ভার্চুয়ালি স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি কর্মঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ড. মারিয়া নেইরা বলেন, সপ্তায় ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করা মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি। এখন সময় এসেছে আমরা সবাই— সরকার, প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীদের সচেতন হতে হবে, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা আমাদের অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
একই সংস্থার কারিগরি কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক পেগা বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ যখন জাতীয় পর্যায়ে লকডাউন আরোপ করেছে, তখন কর্মঘণ্টা ১০ শতাংশ বেড়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছি আমরা; বরং কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনাই কর্মী ও নিয়োগদাতা উভয়ের জন্য লাভজনক। কারণ এর ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।’
বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দীর্ঘসময় কর্মীদের কাজের চাপে আটকে রাখা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় বলেও উল্লেখ করেন পেগা।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পেশাগত কারণে বিভিন্ন রোগে ভোগাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে দীর্ঘসময় কাজ করার ফলে সৃষ্ট শারীরিক ও মানসিক জটিলতা।
তাই কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়নের সময় নিয়োগদাতাদের কর্মঘণ্টার বিষয়টিতেও খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আইনিউজ/এসডিপি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২২
- ছেলেদের ইসলামিক আনকমন নাম অর্থসহ শিশুর নাম
- মেয়েদের ইসলামিক নাম ২০২৩
- সুন্দর বাচ্চা পিক ডাউনলোড
- মাথা ন্যাড়া করার এই অপকারিতা জানেন কি?
- ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কাউনের চালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস বাংলা
- শুভ সকাল রোমান্টিক মেসেজ | শুভ সকাল স্ট্যাটাস
- অনেকেই জানেন না, সিগারেটের বাংলা অর্থ কী?