Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ১৫ জুলাই ২০১৯
আপডেট: ১১:৪৩, ১৫ জুলাই ২০১৯

আদালতে আসামির হাতে আসামি খুন

কুমিল্লা:  কুমিল্লায় আদালতের এজলাসে বিচার চলাকালে বিচারকের সামনে এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার ৩নং আমলি আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌসের এজলাসের খাসকামরায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম ফারুক ( ২৮)। সে মনোহরগঞ্জ উপজেলার অহিদুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল হাসানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কুমিল্লায় আদালতের এজলাসে বিচার চলাকালে বিচারকের সামনে এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার ৩নং আমলি আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌসের এজলাসের খাসকামরায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম ফারুক ( ২৮)। সে মনোহরগঞ্জ উপজেলার অহিদুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল হাসানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার ৩নং আমলি আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌসের এজলাসের খাসকামরায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম ফারুক ( ২৮)। সে মনোহরগঞ্জ উপজেলার অহিদুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল হাসানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত  ফারুক অভিযুক্ত হত্যাকারী হাসান একে অপরের ফুফাতো-মামাতো ভাই। তারা উভয়ই একটি হত্যা মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্টের হত্যা মামলার আসামি ছিলেন ফারুক ও হাসান। আজ জামিনে থেকে ওই মামলায় হাজিরা দিতে আসেন তাঁরা। এ সময় ফারুক ও হাসানের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাসান কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় ছুরি নিয়ে ধাওয়া করেন ফারুককে। ফারুক আত্মরক্ষার্থে আদালতের এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন আদালতের লোকজন হাসানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ফারুককে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফারুককে অপর এক আসামি ছুরিকাঘাত করার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ তিনি  বলেন, ‘মামাতো-ফুপাতো ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছি এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

এ ঘটনায় আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে আইনজীবীসহ অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এত নিরাপত্তার মাঝেও আসামির ছুরি নিয়ে আদালতে প্রবেশের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরডি/ ইএন
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়