নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ২৩:০৮, ৮ মে ২০২২
বিদেশে কান্নাকাটি না করে আমার কাছে আসুন : শ্রমিকনেতাদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি শ্রমিক নেতাদের বলব- আপনারা বিদেশের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি না করে আপনাদের যদি সমস্যা থাকে আমার কাছে আসবেন। আমি শুনব। মালিকদের কাছ থেকে যদি কিছু আদায় করতে হয় তাহলে আমি আদায় করে দেব। আমিই পারব। এটা আমি বলতে পারি।
মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে রবিবার (৮ মে) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে অহেতুক বিদেশিদের পিছনে না ছুটে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন একটি কারখানা যদি তৈরি হয় তাহলে মালিক সেখানে পুঁজি দেয় আর শ্রমিক শ্রম দেয়। মালিকের পুঁজি এবং শ্রমিকের শ্রম নিয়েই কারখানা চালু থাকে, উৎপাদন বাড়ে এবং দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হয়। একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে সকলেরই দায়িত্ব থাকে আর সেক্ষেত্রে মালিকের দায়িত্ব থাকে শ্রমিকের ওপর অন্যদিকে শ্রমিকের দায়িত্ব থাকে মালিকের ওপর।
শ্রমিকদের কয়েক দফায় মজুরি বৃদ্ধি এবং মালিক-শ্রমিক কল্যাণে গৃহীত বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিক ও তাঁদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা, কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে এবং জরুরি ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানে ‘বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল’ গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে অনেক মালিকের টাকা না দেওয়াকে দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, মালিকদের যেটা এখানে নির্দিষ্ট রয়েছে তারা তা এখানে জমা দেবেন। কিন্তু অনেকে তা দেন না। এটা খুব দুঃখজনক। আমি মনে করি, এটা যথাযথভাবে দেওয়া উচিত। একজন যখন বিপদে পড়ে তখন তার পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, যে কারখানা পরস্পরের রুটি রুজি এবং জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে তা যেন ভাল ভাবে সচল থাকে সেটা যেমন শ্রমিকের দেখার দায়িত্ব, তেমনি শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে কিনা এবং তাদের জীবন মান উন্নত হচ্ছে কি না বা কাজের পরিবেশ পাচ্ছে কি না সেটাও মালিকদের দেখতে হবে। তাহলেই উৎপাদন বাড়বে এবং মালিক, দেশ এবং শ্রমিক সকলেই লাভবান হবে।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এদেশের শ্রমিক, কৃষক, মেহেনতি জনতার ভাগ্য পরিবর্তনে এবং জাতির পিতার যে আকাঙ্ক্ষা এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো- সে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আইনিউজ/এসডি
দেখুন আইনিউজ ভিডিও
জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলায় ৫ জন কারাগারে
জাফলংয়ে পর্যটক পেটানো সেই স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানালেন এসপি
সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় এ ঈদগাহে নামাজ পড়বে ১৬ হাজার মানুষ
শহরে বেদে নারীদের চাঁদাবাজি, তাদের লক্ষ্য নিরীহ পথচারী ও যাত্রী
অনুরাধা রায় ও তার শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে মুগ্ধতা ছড়ানো ইসলামিক গজল
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের