Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ১৩ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৯ ১৪৩২

আইনিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ১ নভেম্বর ২০২০

বাংলাদেশি সহেলিকে হারিয়ে পাকিস্তানে পাগলপ্রায় হাতি

নিঃসঙ্গতার এ এক ভয়াবহ উদাহরণ। একে তো খাঁচায় বন্দি। তার ওপর আট বছর আগে বাংলাদেশি সঙ্গীর মৃত্যু। সেই থেকে উন্মত্ত আচরণ। এক সময় পায়ে পড়ে শিকল। কাভান নামের একটি হাতি এভাবে বন্দি পাকিস্তানের ইসলামাবাদ চিড়িয়াখানায়।

কাভান পাকিস্তানের একমাত্র এশিয়ান হাতি। ইসলামাবাদের মারঘজা চিড়িয়াখানায় তার বসবাস তিন দশকের বেশি। এখন সে পৃথিবীর ‘নিঃসঙ্গতম হাতির’ খেতাব পেয়েছে। তাকে মুক্ত করতে পপতারকা চে আদালতে পর্যন্ত গেছেন। চলতি বছরের মে মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কাভানের পক্ষে রায় দিয়ে জানায়, তাকে উন্নত পরিবেশে নিতে হবে।

কাভান ও তার বাংলাদেশি সঙ্গীর গল্প: মে মাসের শেষ দিকে দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কা সরকার ১৯৮৫ সালে কাভানকে উপহার হিসেবে পাকিস্তানে পাঠায়। ওই সময় তার বয়স ছিল এক বছর। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে সাবেক পাক স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়া-উল-হক হাতিটি গ্রহণ করেন।

নিঃসঙ্গ কাভান পাগলের মতো আচরণ করতে থাকে ২০০২ সাল থেকে। পরে সে সঙ্গী হিসেবে পায় সহেলি নামের একটি হাতিকে। সহেলি ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে যায়।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহেলি ২০১২ সালে মারা গেলে কাভান ‘নিঃসঙ্গতম হাতি’ হয়। তখন থেকে তার আচরণ বেশি খারাপ হতে থাকে। এক সময় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাকে শিকল পরায়।

নতুন জীবনের পথে কাভান: ২০১৫ সালের দিকে সমীর খান নামের এক শিক্ষার্থী কাভানকে মুক্ত করতে অনলাইনে একটি পিটিশন শুরু করেন। সমীর কাভানের নামে একটি ফেইসবুক পেজও খোলেন।

এরপর মাঠে নামেন চে। নিজের ফাউন্ডেশন থেকে প্রচারণা শুরু করেন। এক সময় পাকিস্তান প্রশাসন কাভানকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

কাভানের পরবর্তী গন্তব্য কম্বোডিয়ার অভয়ারণ্য। সেখানে আরও ৮০টি প্রাণীর সঙ্গী হবে সে। তাকে দেখভাল করবেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

কাভানকে নিতে কম্বোডিয়া ইতিমধ্যে বিশেষ একটি যানবাহন তৈরি করেছে। এই নভেম্বরেই সে পাবে মুক্তির স্বাদ…।

 
Green Tea
সর্বশেষ