Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩২

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩

সিলেটে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ শেষে জয়ী কুমিল্লা 

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের খেলোয়াড়দের উচ্ছাস। ছবি- সংগৃহীত

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের খেলোয়াড়দের উচ্ছাস। ছবি- সংগৃহীত

বিপিএল নবম আসরের খেলা যতো পরিণতির দিকে এগুচ্ছে ততোই জমে উঠছে। বর্তমানে চলছে আসরের সিলেট পর্বের খেলা। আজকের খেলায় খুলনার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ শেষে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা। তবে জয়ের থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকায় খেলায় টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একটা সময় খুলনার ভক্তদের উচ্ছাস দেখে হতাশই হচ্ছিলেন ভিক্টোরিয়ান্স সমর্থকরা। যদিও শেষ হাসি হেসেছে কুমিল্লাই। 

শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। কুমিল্লার হয়ে মোসাদ্দেক হোসেনের করা ওভারের প্রথম দুই বলে ১ রান নেন ওয়াহাব। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা দুটি চার হাঁকান ইয়াসির রাব্বি। পরের বলে ২ রান নেন তিনি।

শেষ বলে ৬ রান প্রয়োজন, এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে মাত্র ১ রান নিতে পারেন রাব্বি। ফলে কুমিল্লা পায় ৪ রানের জয়।

রান তাড়া করতে নেমে ব্যক্তিগত ১১ রানে ফেরেন তামিম ইকবাল। এরপর অ্যান্ডি বালবির্নি ৩১ বলে ৩৮ রান করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন। মাহমুদুল হাসান জয় খেলেন ২৬ রানের ইনিংস। তবে ১ রানের বেশি করতে পারেননি আজম খান।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও ৮ রানে ফিরলে চাপে পড়ে খুলনা। একপ্রান্ত আগলে খেলা শাই হোপ ৩২ বলে ৩৩ রান করে নাসিম শাহের বলে বোল্ড হন। তখন ১১ বলে খুলনার প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। সেই ওভার থেকে ৮ রান নেন ইয়াসির ও ওয়াহাব রিয়াজ।

শেষ ওভারে ১২ রানের বেশি নিতে পারেননি রিয়াসির ও রিয়াজ। ফলে আনন্দে মাতে কুমিল্লা। দলটির হয়ে নাসিম শাহ দুটি এবং তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি। শুরু থেকে দেখে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা লিটন ৪১ বলে ফিফটি পূরণ করেন। অন্যপ্রান্তে তখন ১৫ রানে ব্যাট করছিলেন রিজওয়ান। ফিফটির পরের বলেই লিটন আউট হলে ভাঙে দুজনের ৬৫ রানের জুটি।

এরপর জনসন চার্লসের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। সাজঘরে ফেরার আগে চার্লস করেন ৩৯ রান। বাকি সময়ে আর কোনো উইকেট হারায়নি কুমিল্লা। রিজওয়ান ও খুশদিল শাহ এ সময় ৪০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন।

রিজওয়ান ৫৪ ও খুশদিল ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন নাহিদুল ইসলাম ও ওয়াহাব রিয়াজ। 

আই নিউজ/এইচএ 

Eye News YouTube Video

প্রকৃতির সন্তান খাসি - খাসিয়া জনগোষ্ঠী | Eye News

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়