নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট: ১১:৩৩, ১৭ জুন ২০২১
গ্রামবাসির শতচেষ্টায়ও বিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছেনা নবীগঞ্জের হৈবতপুরে
জেলা প্রশাসকের কাছে বিদ্যালয়ের দাবিতে গ্রামবাসির আবেদন।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের হৈবতপুর, লস্করপুরসহ আশপাশের গ্রামে প্রায় ৪ হাজার মানুষের বসবাস। হৈবতপুর গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষাখাত থেকে পিছিয়ে পড়ছে ওই এলাকার শিশুরা। এর ফলে বিপথগামী হচ্ছে শিশু-কিশোররা। প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য বিভিন্নস্থানে ঘুরেঘুরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ইতোমধ্যে হৈবতপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর সহকারে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে অবগত হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জানা যায়, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত হৈবতপুর ও লস্করপুর গ্রাম। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে হৈবতপুর গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির আকুতি জানিয়ে আসছেন ওই এলাকার লোকজন। কিন্তু বারবার আবেদন জানালেও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি।
গ্রামগুলোর প্রায় ৪ শতাধিক শিশুশিক্ষার্থীরা দূরবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া করেন। এর ফলে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। হৈবতপুর গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে স্থানীয়দের আপ্রাণ চেষ্টার ফলে ১৯৯৮ সালে ৩৩ শতক জায়গা বিদ্যালয়ের নামে দান করা হয়। কিন্তু বিদ্যালয় স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
হৈবতপুর গ্রামের মুরুব্বি আব্দুল ওয়াহিদ জানান, বয়স অনেক হলো, বৃদ্ধ হয়ে গেছি। এই গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য অনেক মানুষের দ্বারে-দ্বারে গেছি, কিন্তু তার প্রেক্ষিতে পেয়েছি শুধু আশ্বাস কাজের কাজ কিছুই হয়নি, স্থাপিত হয়নি বিদ্যালয়। মৃত্যুর আগে এই গ্রামে একটি বিদ্যালয় দেখে যেতে চাই। এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
শিশু মিয়া নামে এক অভিভাবক জানান, আমাদের গ্রামে স্কুল না থাকায় পাশ্ববর্তী দেবপাড়া ইউনিয়নের গোপলার বাজারে আমার সন্তানকে ভর্তি করতে নিয়ে গেলে শিক্ষকরা জানান, অন্য ইউনিয়নের ছাত্র ভর্তি করার কোনো আইন নেই। এর ফলে আমার সন্তানসহ হৈবতপুর গ্রামের অনেক শিশু-কিশোর ঝড়ে পড়ছে। শিক্ষার অভাবে শিশু-কিশোর ও যুবসমাজ বিপদগামী হচ্ছে।
ওই গ্রামের আরেকজন জানান, আশপাশে স্কুল না থাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে ফুটারমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার মেয়ে ভর্তি করেছিলাম। অনেক সময় বৃষ্টি হলে রাস্তার বেহাল দশা হয়ে যায় এ জন্য ২ কিলোমিটার দূর স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয়না, দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করে অনেক দূর স্কুল হওয়ায় আমার মেয়ে পড়ালেখা ছেড়ে দেয়।
আব্দুর রহিম নামের একজন জানান, হৈবতপুর গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন হলে সু-শিক্ষা গ্রহণ করে একটি সুন্দর সমাজ গঠন করতে পারবে এই এলাকার শিশু কিশোররা।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, হৈবতপুর গ্রামে একটি স্কুল প্রয়োজন, উধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে বিষয়ে যা করণীয় আমি করবো।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, হৈবতপুর গ্রামে বিদ্যালয় নেই বিষয়টি আমি পূর্বে অবগত ছিলাম না, আমি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ প্রসঙ্গে জানতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর আবেদন করেছেন এর প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনে যথাযথ প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইনিউজ/অঞ্জন রায়/এসডি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক