Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ১১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ৯ মার্চ ২০২৩

সুনামগঞ্জে

৯ বছর পর মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক মোজাম্মেল

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া। ছবি- আই নিউজ

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া। ছবি- আই নিউজ

সুনামগঞ্জে সাজানো মিথ্যা এসিড মামলা থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া। আজ বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) দুপুরে জেলা ও অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ মুক্তির এই রায় প্রদান করেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে- সীমান্ত চোরাচালান, চাঁদাবাজি ও জুয়ার বোর্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ২০১২ সালে ৫ জানুয়ারি মাইটিভি ও দৈনিক মানবকণ্ঠের সাবেক সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার ওপর হামলা চালিয়ে নগদ টাকা,স্বর্ণের চেইনসহ ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার হাবিব সারোয়ার আজাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। 

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে নির্যাতিত সাংবাদিক মোজাম্মেল ন্যায় বিচারের আশায় চোরাকারবারীদের গডফাদার হাবিব সারোয়ার আজাদ ও তার বাহিনীর বিরোদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। 

সেই মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তৎকালীন তাহিরপুর থানার এসআই জামাল উদ্দিনের সার্বিক সহযোগীতায় হাবিব সারোয়ার আজাদ তার ছেলে শিহাব সারোয়ার শিপুকে ২০১৪ সালের ২৯ মার্চ রাত অনুমান ৮টার সময় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে আহত করে। পরে এ ঘটনায় নিরপরাধ সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় এসিড মামলা দায়ের করে আজাদ। এবং অগ্নিদগ্ধ শিপুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করে। 

হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের মেডিকেল অফিসার আফসার উদ্দিন দগ্ধ শিপুর চিকিৎসা করেন। আদালতে এসে ওই চিকিৎসক স্বাক্ষি দেন এই ঘটনাটি এসিডের ঘটনা নয়। আহত শিপু আগুন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। তার মুখে এসিডের কোন জখম নেই বলে আদালতকে জানান ওই চিকিৎসক। 

এ ছাড়াও এই মামলায় ২২জন আদালতে এসে সাক্ষী দিয়েছে। যাতে অভিযুক্ত সাংবাদিক মোজাম্মেলকে এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয় বলে জানান তারা।  অবশেষে আদালতে বিজ্ঞ বিচারক দীর্ঘ ৯ বছর এই মামলাটি মনোযোগ বিচার-বিশ্লেষণ করে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াকে বেখসুর খালাস প্রদান করেন।

সাংবাদিক মোজাম্মেলের পক্ষে মামলাটি আদালতে পরিচালনা করেন এডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান। এবং বিভিন্ন সময় তাকে সহযোগীতা করেছেন সিনিনিয় আইনজীবি হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, পীর মতিউর রহমান, শফিকুল ইসলাম শেপুসহ আরো একাধিক আইনজীবি।

এব্যাপারে মামলার আইনজীবি এডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এই মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ সাজোনো একটি মামলা। মামলা-মোকদ্দমা ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে হাবিব সারোয়ার আজাদ তার নিজের ছেলেকে আগুনে পুড়িয়ে নিরপরাধ সাংবাদিক মোজাম্মেলকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসিয়েছিল। সাক্ষী-প্রমাণাদি দ্বারা আমরা আসল সত্য সামনে আনতে পেরেছি।  সাংবাদিক মোজাম্মেল ন্যায় বিচার পেয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য আমরা আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের প্রতি সন্তুষ্ট ও কৃতজ্ঞ।

আই নিউজ/এইচএ 


আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন

জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়