নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটে বেড়েছে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সফলতা
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও হয়েছে ব্যাপক আয়োজন। দিবস উপলক্ষে সিলেটের সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে করা হয় আলোচনা সভা-র্যালি। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য আয়োজিত এ দিবসের আলোচনা সভায় মিলেছে সফলার খবর। সিভিল সার্জনেরত পক্ষ থেকে বলা হয়েছে চিকিৎসায় যক্ষ্মা নিরোধে ৯৪.৬৭ শতাংশ সফলতার দেখা পেয়েছে সিলেটের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টায় বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, জানান, ২০১৯ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে শনাক্তকৃত সকল ধরণের যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসার সাফল্যের হার ৯৪.৬৭ শতাংশ। ২০২০ সালে সিলেট জেলায় অবস্থিত মোট ৯টি জিন এক্সপার্ট ল্যাবরোটরিতে ১০ হাজার ৭শত ৮১ জন সন্দেহজনক যক্ষ্মা ও ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী পরীক্ষা করা হয় এবং এর মধ্যে ৪৩ জনকে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (এমডিআর) রোগী হিসাবে শনাক্ত পূর্বক চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে সিলেট জেলায় সর্বমোট ২৯ জন ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (এমডিআর) রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এসময় সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল আরও বলেন, গত বছরে সিলেটে ৩ হাজার ৪২৭ জন যক্ষা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে ৪২ হাজার ৬৩২ জন সন্দেহজনক যক্ষ্মা রোগীর এলইডি মাইক্রোসকপি ল্যাবরোটরিতে কফ পরীক্ষা করা হয়েছে।
ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল জানান, ২০২০ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে মোট ৬ হাজার ৫৬৯ জন সকল ধরণের যক্ষ্মারোগী শনাক্তপূর্বক চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। এরমধ্যে কফে যক্ষ্মা জীবাণুযুক্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ২৭৩ জন। কফে জীবাণুমুক্ত ও ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে যথাক্রমে ১২০২ ও ১০৯৪ জন। শিশু যক্ষ্মরোগী (যাদের বয়স ১৫ বছরের কম) শনাক্ত হয়েছে ২৬৫ জন ও সকল ধরণের যক্ষ্মারোগী চিহ্নিতকরণের হার লাখে ১৪১ জন।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকালে ৯ টায় একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিভিল সার্জন অফিসে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে এবারের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’।
সিলেট সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও এমওসিএস ডা. স্বপ্লীল সৌরভ রায়ের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সহকারি পরিচালক ডা. নূর এ আলম শামীম, জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সিলেটের বিভাগীয় কনসালটেন্ট ডা. শহীদ আনোয়ার রুমি, সিলেটের উপ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল মুনীর রাহিল, সিভিল সার্জন অফিসের প্রোগাম অর্গানাইজার আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, যক্ষ্মার প্রকোপ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হলে সকল যক্ষ্মা রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। আমাদেরকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে, যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিশেষ করে সকলের সাহায্য সহযোগিতায় যক্ষ্মা বিষয়ে গণসচেতনতা মুলক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে।
আইনিউজ/শাহ শরীফ উদ্দিন/এসডি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক