আইনিউজ ডেস্ক
অস্তিত্ব সংকটে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথ
অযত্ন আর অবহেলায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথ। প্রায় ১৭ বছর ধরে এ রেলপথটি বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে যেমন রেলওয়ের জমি দখল হচ্ছে, তেমনি চুরি হয়ে যাচ্ছে রেলওয়ের নানা যন্ত্রপাতি। এছাড়া রেললাইনেও কোথাও স্লিপারের ছিটেফোঁটা নেই। এখন রেললাইন ঘিরে তৈরি করা হচ্ছে বাইপাস সড়ক।
অথচ ১৯২৮ সালে ব্রিটিশ সরকার হবিগঞ্জ থেকে শায়েস্তাগঞ্জ জংশন হয়ে বাল্লা সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৫২ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপন করে। চা-পাতা রপ্তানি ও বাগানের রেশনসহ, জ্বালানি তেলসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র আমদানি করার একমাত্র মাধ্যম ছিল এ রেলপথ। বর্তমানে অস্তিত্ব বিলীনের পথে রয়েছে রেলপথটি। এজন্য দ্রুত রেললাইনটি চালু করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাধীনতার পর এরশাদ সরকারের প্রথম দিকে এ লাইনটি সর্বপ্রথম বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার চালু করা হলেও ফের ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। সর্বশেষ ২০০৩ সাল থেকে এ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, একশ্রেণির মানুষ এসব জমি দখল করে দালান তৈরি করছেন। রেলওয়ের জমিতে চলছে নানা রকম ফসলের চাষাবাদ। বিগত ২০০৫ সালের দিকে সড়ক করার অজুহাতে হবিগঞ্জ বাজার থেকে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রেলপথ তুলে ফেলা হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের অঘোষিতভাবে বন্ধ হওয়ার পর থেকেই একটি প্রভাবশালী মহল রেলের বিশাল সম্পদের দিকে নজর দেয়। পরে আবার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইনটি উঠিয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়।
এর সাথে শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেল লাইনের প্রায় ৩৬ কিলোমিটার সড়কের রেলের শিক, পাথর, সিগন্যাল, তার, নাট-বল্টু ও ওজন মাপার যন্ত্রপাতি এবং ৭টি স্টেশনের অবকাঠামোসহ কোটি কোটি টাকার মালামাল লুটপাট শুরু হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত ৯৫ ভাগ লুটপাট হয়েছে। কিন্তু লুটপাট-কারীদের নির্দিষ্ট কোন তালিকা নেই কোথাও। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নীরবতায় লুটপাটকারীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শায়েস্তাগঞ্জে এক জনসভায় তৎকালীন রেলমন্ত্রী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ বাল্লা রেলপথ আবারো চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিতেই আটকে আছে রেললাইন চালুর কাজ। অথচ এ পথে ট্রেন চালু হলে হাজার হাজার মানুষের ব্যবসা বাণিজ্যে প্রাণ ফিরে পাবে। একই সাথে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এবিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, বাল্লা রেলপথ আবার চালু হবে কি-না এটি রেল মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। আর রেলের মালামাল চুরির বিষয়টি পিডব্লিউআই দেখে আমরা এ বিষয়ে অবগত নই।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপ-প্রকৌশলী (পথ) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আপাতত বাল্লা রেলপথ চালু হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বাল্লা রেলপথের মালামাল চুরি হবার বিষয়ে আপনারা কি পদক্ষেপ নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখানে নতুন জয়েন করেছি। আগে কি হয়েছিল আমি সে বিষয়ে অবগত নই। আমি জয়েন করার পর, এখন চুরি হচ্ছে না। চুরি রোধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যদি কখনো এ রাস্তা পুনরায় সংস্কার হয়, তবে ট্রেন চালু হতে পারে বলেও জানান তিনি।
আর হবিগঞ্জের সাংসদ এডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি বলেন, বাল্লা রেলপথ আমার এরিয়া না এটি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী দেখেন।
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
- করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩ চিকিৎসক