নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪:৪৯, ৮ জুলাই ২০২০
আপডেট: ০০:২৪, ৯ জুলাই ২০২০
আপডেট: ০০:২৪, ৯ জুলাই ২০২০
করোনা জয় করলেন মাইনুল-রিমি দম্পতি
মাইনুল ইসলাম-রিমি খন্দকার দম্পতি। দুজনে ঢাকার শ্যামলীর বাসিন্দা। মাইনুল ইসলাম আইটি কনসালটেন্ট (সেলস) স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেড এর একজন তরুণ সংগঠক। আর তাঁর স্ত্রী রিমি খন্দকার একজন তরুণ উদ্যোক্তা। অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান "গোলাপজান" এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। গত ১৫ ই জুন করোনার উপসর্গ দেখা দিলে প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় বসেই প্রাথমিক চিকিৎসা চালিয়ে যান মাইনুল। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী রিমি খন্দকার।
মাইনুল ইসলাম বলেন , "১৫ জুন আমার করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তারপর ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন শুরু করি। এর মধ্যে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিই। এজন্য অনলাইনে করোনা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে সিরিয়াল নেয়ার চেষ্টা করি। অনেক ঝামেলা পেরিয়ে শেষমেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে একটা সিরিয়াল পাওয়ার পরই রিমিকে সেখানে নিয়ে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করাই। ঐদিনই রিপোর্টে জানতে পারি রিমির করোনা পজিটিভ। তারপর ২৫ জুন আমিও করোনা পরীক্ষা করে জানতে পারি আমারও করোনা পজিটিভ।'
মাইনুল জানান, প্রথমে তিনি মানসিকভাবে কিছুটা দূর্বল হয়ে পড়লেও তার স্ত্রী রিমি খন্দকার তার মনোবল বৃদ্ধিতে অনেকটাই ভূমিকা রাখেন।
তিনি বলেন, ’করোনা আক্রান্তের ব্যাপারে রিমি মানসিকভাবে শক্ত ছিল’
এদিকে রিমি খন্দকার জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমে অবাক হলেও মোটেও বিচলিত হন নি তিনি। 'করোনা হয়েছে' এটা মাথায় নিয়ে বসে না থেকে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি ভাবতে শুরু করেন। প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেন নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখার।এজন্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সাথে দিনের বেশিরভাগ সময় ফোনে কথা বলে, ফেইসবুক ব্যবহার আর রান্না-বান্না করে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু টেস্টসহ অন্যান্য টেস্টও করান।
রিমি বলেন, করোনা হয়েছে, 'আমি মারা যাবো এ ধরণের মনমানসিকতা কখনই থাকা উচিত নয়। আতংক ঝেড়ে নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে।'
তিনি জানান, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সময়মতো খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারটা সামলেছেন ঠিকমতোই। রান্নার জন্য বাসায় আগে থেকেই প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে রেখেছিলেন তারা।
রিমি জানান, আক্রান্ত হওয়ার সপ্তাহখানিক পরে শারিরীক দূর্বলতার কারণে রান্নার কাজে সমস্যা হচ্ছিল। তবে কয়েকজন ফেইসবুকবন্ধু অনেকগুলো রান্না করা খাবার আর ফলমূল পাঠিয়ে তাদেরকে সাহায্য করেন। এজন্য দুজনেই বিপদে এগিয়ে আসা এসব বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
দুজনেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে নিয়ে ১ জুলাই দুজনে ফলোআপ টেস্ট করান, সেখানে দুজনেরই করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে তাঁরা উভয়ই শারিরীকভাবে অনেকটাই দূর্বল ছিলেন। ৬ জুলাই ২য় ফলোআপ টেস্টে আবারও ফলাফল নেগেটিভ আসে।
মাইনুল ইসলাম বলেন, 'আমার স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট ছিল বেশি, আমরা রাতে জেগে থাকতাম আর পাশাপাশি ব্যায়াম করে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতাম। এরই মধ্যে অনেক বাধা-বিপত্তি আর বিপদের সম্মুখীন হলেও অনেক ফেইসবুক বন্ধু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেউ রান্না করা খাবার, কেউ কেউ পুরো বাজারই করে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছেন, কেউবা করেছেন আর্থিকভাবে সহযোগিতা।
তিনি বলেন, আমরা সবার সহযোগিতা আর ভালোবাসা পেয়েছি। এভাবেই এমন পরিস্থিতিতে যে কাউকে সবার সহযোগিতা আর ভালোবাসা পাওয়াটা একান্ত প্রয়োজন।
মাইনুল বলেন, করোনায় আক্রান্তদের জন্য তাঁদের প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন।
জেএ/আই নিউজ
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের
সর্বশেষ
জনপ্রিয়