জীবন পাল
চা শ্রমিক ধর্মঘট: ১ দিনে ক্ষতি ৩০ কোটি টাকা
এই ৪ দিনে চা বাগানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা
সারাদেশের প্রায় সবগুলো চা বাগানে চলছে চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। ধর্মঘটের কারণে শুধুমাত্র প্রথম দিনেই শনিবার (১৩ আগস্ট) ক্ষতি হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। বিভাগীয় শ্রম দপ্তর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যেহেতু চা শ্রমিকদের কর্মঘন্টা ৮। এই ৮ ঘন্টায় ক্ষতি হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা। তার মানে প্রতি ঘন্টায় ক্ষতির পরিমাণ দাড়াচ্ছে ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। সে হিসেবে ২ ঘন্টায় ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) থেকে শুক্রবার (১২ আগস্ট) প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে সব বাগানে কর্মবিরতি পালন করে। এই ৪ দিনে চা বাগানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। আর দাবি আদায় না হওয়ায় শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করেন। সে হিসেবে শনিবার (১৩ আগস্ট) কর্মঘন্টা হিসেবে ৮ ঘন্টায় ক্ষতি হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। আন্দোলনের এই ৫ দিনে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় ৬০ কোটি টাকা।
কথা বলে জানা গেছে, একজন চা শ্রমিক চা গাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০-১০০ কেজি পর্যন্ত কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ করে থাকেন। যা একজন শ্রমিকের কর্মক্ষমতার উপর নির্ভর করে। দক্ষতার ভিক্তিতে অনেক চা শ্রমিক ১০০ কেজি পর্যন্ত কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ করতে পারে। তবে ২৪ কেজি হচ্ছে তাদের নির্ধারিত টাস্ক। নির্ধারিত এই টাস্কের মূল্য হচ্ছে ১২০ টাকা। ২৫ কেজির উপরে অতিরিক্ত চা সংগ্রহ করলে তার বাড়তি মূল্য দেওয়া হয়ে থাকে। এই বাড়তি মূল্যটা চা বাগান কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত করে থাকেন। যা কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা নির্ধারন করা হয়। কোন চা বাগান কর্তৃপক্ষ একজন চা শ্রমিককে ২৪ কেজির বাড়তি চা পাতা সংগ্রহ করলে কেজি প্রতি ৪ টাকা থেকে ৪.৩০ পয়সা দিয়ে থাকেন। আবার কোন চা বাগান কর্তৃপক্ষ বাড়তি চা পাতা সংগ্রহের জন্য প্রতি কেজিতে ৫ টাকা মূল্য নির্ধারন করে থাকেন।
১ কেজি মেইড টি তৈরি করতে কত কেজি কাঁচা চা পাতার প্রয়োজন হয় জানতে চাইলে শ্রম দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা যায়, ১ কেজি মেইড টি তৈরি করতে ৪ কেজি কাঁচা চা পাতার প্রয়োজন হয়। যার আনুমানিক মূল্য দাড়ায় ২০০ টাকা।
বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, রবিবার (১৪ আগষ্ট) সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হলেও শ্রমিকদের আগ্রহ থাকলে ঐচ্ছিক কাজ করার সুযোগ আছে। কিন্তু অনেক চা শ্রমিক কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও আন্দোলনকারীর বাঁধার মুখে পড়ে কাজে আসতে পারছেন না।
তিনি বলেন, চাপাতা গাছ থেকে সংগ্রহ করার পর ১৬ ঘন্টা বাতাসে শুকাতে হয়। তারপর প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। শুক্রবার (১২ আগষ্ট) গাছ থেকে শ্রমিকদের সংগ্রহ করা প্রচুর কাঁচা চা পাতা পড়ে আছে। শ্রমিকরা কাজ করতে না যাওয়ায় চাপাতাগুলো নষ্ট হচ্ছে। শ্রমিকরা কাজে না ফেরার কারণে সেটা কিন্তু হচ্ছেনা।
জানা গেছে, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আগামী ১৬ আগষ্ট শ্রীমঙ্গল আসছেন। সেদিন সকাল ১১ টায়তিনি চা শ্রমিকদের সাথে বসবেন। তাদের সাথে কথা বলবেন। এ বিষয়ে শ্রম দপ্তর থেকে লিখিত আকারে একটা চিঠি রেডি করা হচ্ছে। যা চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের কাছে পাঠাওনো হবে।
উল্লেখ্য, দৈনিক মজুরি ১২০ টাকায় জীবন জীবিকা না চলায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকদের । শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামেন তারা। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) থেকে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে সব বাগানে কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি বিক্ষোভ সমাবেশেরও আয়োজন করা হয়। তাতেও দাবি আদায় না হওয়ায় শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করেন।
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের