নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৬, ২৯ মে ২০২০
আপডেট: ০৮:১৭, ২৯ মে ২০২০
আপডেট: ০৮:১৭, ২৯ মে ২০২০
রোববার থেকে ৮টি আন্তঃনগর ট্রেন চালু হবে
রোববার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে ৮টি আন্তঃনগর ট্রেন।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন পুনরায় চালাতে যাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।রোববার থেকে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল রেলওয়েতে ‘ক’ গ্রুপে চারটি করে মোট আটটি আন্তঃনগর ট্রেন চালাবে কর্তৃপক্ষ।একই সঙ্গে ৩ জুন থেকে ‘খ’ গ্রুপে আরও ৯টি ট্রেন পরিচালনা করা হবে।করোনা প্রতিরোধে ২৫ মার্চ থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়।করোনা সংক্রমণ রোধে নির্ধারিত যাত্রী সংখ্যার চেয়ে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে প্রতিটি কোচ চলবে।৬০টি টিকিটের মধ্যে ৩০টি এবং শুধু জোর কিংবা বেজোর সংখ্যার টিকিট বিক্রি করা হবে।যেসব স্টেশন থেকে ট্রেনগুলো ছাড়বে এবং পৌঁছবে সেগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।কাউন্টারের সামনে নির্ধারিত দূরত্ব বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বৃত্ত আঁকা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানান, রোববার থেকে আমরা শুরুতে পশ্চিমাঞ্চলে চারটি এবং পূর্বাঞ্চলে চারটি আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা করব।যাত্রীদের চাহিদা ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। শুরুতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় আমরা ট্রেনগুলো চালাতে চাচ্ছি।কোনো অবস্থাতেই যাতে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে যথাযথভাবে মানতে বাধ্য করা হবে। রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রস্তুত রয়েছেন।যাত্রীদেরও সর্বোচ্চ সতর্ক হয়ে ট্রেন ভ্রমণ করতে হবে। তিনি বলেন, আটটি ট্রেনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রেন বিরতিহীন। এছাড়া যেসব ট্রেনের বিরতি রয়েছে সেগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি তথা সব ধরনের নিরাপত্তা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে।এ নিয়ে শনিবার বিশেষ বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে।আমরা ঝুঁকিহীনভাবে ট্রেন চালাতে চাচ্ছি।এজন্য যাত্রীদের সহযোগিতাও প্রয়োজন।
তবে রেল সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা মোটেও সম্ভব হবে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, পশ্চিমাঞ্চলে চারটি এবং পূর্বাঞ্চলে চারটি করে নয়, সব যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার পাশাপাশি কিছু স্পেশাল ট্রেনও পরিচালনা করা জরুরি ছিল।‘ক’ গ্রুপে ৮ টি এবং ‘খ’ গ্রুপে ৯টি ট্রেন পরিচালনা করতে গিয়ে যাত্রীদের চাপ কিছুতেই সামলানো যাবে না।স্টেশনগুলোও নিরাপদ নয়। এছাড়া একশ্রেণির যাত্রী ট্রেনের ছাদে উঠে খুব সহজে হাওয়া ছেড়ে ট্রেন দাঁড় করায়। আবার ট্রেন স্টেশনে প্রবেশের আগেই অনেকে দৌড়ে ট্রেনে ওঠে।পাশাপাশি ট্রেনের ছাদ ও ইঞ্জিনেও অনেকে সহজে উঠে পড়ে।বিভিন্ন স্টেশন মাস্টারসহ ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা কিছুতেই সম্ভব হবে না।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়,রোববার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস,সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট লাইনে কালনী,সিলেট-চট্টগ্রাম লাইনে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এছাড়া ঢাকা-রাজশাহী লাইনে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা লাইনে চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় লাইনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনি লাইনে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনা করা হবে।৩ জুন থেকে আরও ৯টি ট্রেন পরিচালনার প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।৩ জুন থেকে যেসব ট্রেন চালানোর কথা রয়েছে সেগুলো হল- তিস্তা এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও উপকূল এক্সপ্রেস।
সূত্র:যুগান্তর
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের
সর্বশেষ
জনপ্রিয়