Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২৪ মে ২০২৫,   জ্যৈষ্ঠ ১০ ১৪৩২

ইয়ানূর রহমান 

প্রকাশিত: ১১:২০, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

নিষিদ্ধ হলেও অবৈধভাবে ১১ হাজার সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন

সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন নিষিদ্ধ হলেও পানি উত্তোলনে যশোর শহরের ১১ হাজার বাড়িতে পৌরসভার বিনা অনুমতিতে ওই পাম্প বসানো হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে সামর্থ্যবান নাগরিকদের একটি অংশ এমনটি করে আসলেও এতোদিন নিশ্চুপ ছিল পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে সম্প্রতি এ ব্যাপারে টনক নড়ায় পৌরসভা কতৃপক্ষ একটি নোটিশ জারি করে বাসাবাড়িতে স্থাপন করা সাবমারসিবল পাম্প প্রতি মাসিক ৩শ’টাকা বিল ধার্য করেছে।

এ নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে যশোর পৌরসভার নাগরিকদের একটি অংশের মধ্যে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় তারা প্রেসক্লাবে যশোরে পৌরসভার করদাতাদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে। সেখান থেকে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।

যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল আহমেদ জানান, পৌর এলাকার ১১ হাজার বাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প রয়েছে। পৌরসভার বিনা অনুমতি এসব পাম্প বসানো হয়েছে। অনুসন্ধান চালিয়ে তারা ওই সংখ্যক পাম্পের সন্ধান পেয়েছেন।

তিনি আরো জানান, সেসব বাড়িতে সাবমারসিবল পাম্প আছে মাসিক ৩শ’ টাকা বিল দিতে হবে। এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এটি কার্যকর ধরা হবে। যশোর পৌরসভা এক্ষেত্রে অনেক কম টাকা বিল ধার্য করেছে। অন্য জেলায় এর চেয়ে বেশি টাকা বিল দিতে হয়।

যশোর পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ সাক্ষরিত একটি নোটিশে বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌরসভার পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা ২০২৩ মোতাবেক যেখানে পৌরসভা পানি সরবরাহ করে। সেখানে পৌরসভার অনুমোদন ছাড়া অন্য কোন উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করা যাবে না।

নোটিশটিতে সরকারি নিয়ম উল্লেখের পাশাপাশি পৌরসভার যেসব বাসাবাড়ি ও ভবনে সাবমারসিবল পাম্প আছে মালিককে মাসিক ৩০০ টাকা বিল দিতে হবে বলা হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি পৌর পরিষদের মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

পৌরসভার সহাকারী প্রকৌশলী কামাল আহমেদ জানান, সাপ্লাইয়ের পানির লাইন থাকার পরও বাড়িতে সাবমারসেবল পাম্প স্থাপন করতে হলে একটি নির্ধারিত ফি দিয়ে অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে এক থেকে দুই তলা বাড়ির জন্য ১১ হাজার টাকা। তিন থেকে চারতলা বাড়ির ক্ষেত্রে ২৩ হাজার টাকা অনুমোদন ফি দিতে হবে। পাশাপাশি দিতে হবে মাসিক তিন’শ টাকা বিল।

পৌর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ মাসুদ জানান, পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানি দিয়ে ঘর মোছা ও কাপড় ধোয়া ছাড়া পান করা যায় না। এখন সুপেয় পানির জন্য বাড়িতে বাড়িতে সাবমারসেবল পাম্প স্থাপন করলে তাহলে পৌরসভাকে মাসিক তিন’শ টাকা বিল কেন দিতে হবে। এটি অযৌক্তিক।

স্বপন কুমার ভদ্র নামে আরেক বাসিন্দা বলেন পৌর কর্তৃপক্ষের এটি স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত। এটি তারা মানবেন না।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়