Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২

হাসানাত কামাল

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

ফুটবলের গতিদানব এমবাপ্পে

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

কিলিয়ান এমবাপ্পে- বিশ্বকাপের ফাইনালে চারটি গোল করার পরও তিনি নিষ্প্রভ, বিষণ্ন। মুখে হাসি নেই। অথচ হাতে সোনার বুট। পুরো আসরে ৮টি গোলের অনন্য কীর্তি তাঁর। তবুও তিনি পরাজিত দলে!

এমবাপ্পের দৌড় একমাত্র গতিমানব উসাইন বোল্টের সাথে তুলনা করা হয়। এমন ক্ষিপ্র গতির ফুটবলার দ্বিতীয় আর কেউ আছেন কিনা আমার জানা নেই। আগের এক লেখায় বলেছিলাম এমবাপ্পের পায়ে বল থাকলে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ অবশ হয়ে যায়। বুকে কাঁপুনি শুরু হয়।

আর্জেন্টিনার সাথে খেলার ৭৯ মিনিট পর সেই তাণ্ডবলীলা দেখালেন তিনি। আর্জেন্টিনার হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থকদের ‘জানে পানি’ ছিল না।

এমবাপ্পের দৌড় বন্ধ করার জন্য মোলিনা ও ম্যাক অ্যালিস্টারকে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি। ফলে বারবার আটকে যাচ্ছিলেন তিনি। ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশঁ অলিভিয়ের জিরুডকে তুলে নেয়ায় প্রধান স্ট্রাইকারের ভূমিকায় চলে যান এমবাপ্পে। ফলে আরো বেশি নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রথমার্ধে মাত্র একবার আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকতে পেরেছিলেন এমবাপ্পে। তাঁকে এসিস্ট করার মতো ওইভাবে সহযোগি কেউ পাননি। না হলে হয়তো খেলায় ভিন্ন ফলাফল দেখা যেত।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলা যত গড়াল তত ম্যাচে দাপট দেখাতে শুরু করলেন এমবাপ্পে। দুর্দান্ত খেলে, কামব্যাকের গল্প লিখেও যে দলকে জেতাতে পারেন নি। গোল্ডেন বুটের পুরস্কার তাই মলিন মুখে নিলেন ২৩ বছর বয়সী তরুণ।

বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিকের অনন্য কীর্তি গড়েছেন এমবাপ্পে। ৫৬ বছর আগে ১৯৬৬ সালে যে রেকর্ড করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী জিওফ হার্স্ট। মোটামুটি ধরে নেওয়া হয়েছিল এবারের গোল্ডেন বুটের মালিক লিওনেল মেসি। কিন্তু বলা যায় ফুটবল গ্রহের মহাতারকা মেসির হাত থেকে এমবাপ্পে গোল্ডেন বুট কেড়ে নিয়েছেন।

খেলার পুরস্কার বিতরণ পর্বে মেসি, ফার্নান্দেজ, মার্টিনেজদের সাথে এক ফ্রেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে হলো তাঁর। কিন্তু এমবাপ্পে একটুও হাসলেন না। হয়তো হাসতে পারলেন না। তার আগে এককভাবে পুরস্কার জিতে পোজ দিতে হলো সেখানেও স্বপ্নভঙ্গের ধাক্কা চোখে মুখে পরিষ্কার। এমনকি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সান্ত্বনা দিতে আসেন। সেখানেও মলিন মুখে এমবাপ্পে। অথচ বিশ্বকাপ ফাইনালে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছেন তিনি।

চোখের পানিতে মাঠ ছেড়েছেন এমবাপ্পে। মূলত হেরেছেন গ্রহের ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের প্রতিভার কাছে। কিছুটা ভাগ্যের কাছে। তবে যাওয়ার আগে বুঝিয়ে দিলেন, আগামী দিনে বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে একাই দাপিয়ে বেড়াবেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।

এটা বলা যায় আগামীর মহাপরাক্রমশালী ‘ফুটবলের গতিদানব’ এমবাপ্পে।

আইনিউজ/এইচএ

৭১ বছরের এক তরুণ, যার কাছে দৌড়ে যুবকেরাও হার মানে

Green Tea
সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়