Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১০ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৭ ১৪৩২

প্রকাশিত: ১২:৫৯, ১ জুলাই ২০১৯
আপডেট: ১২:৫৯, ১ জুলাই ২০১৯

ট্রেন সিডিউল বিপর্যয়ে চরমে যাত্রী দুর্ভোগ

আইনিউজ ডেস্ক: কুলাউড়ায় বরমচাল স্টেশনের পড়ে যাওয়া বগী উদ্ধারকাজের জন্য সিলেটের সাথে ঢাকা ও চট্রগ্রামের সবগুলো ট্রেনের সিডিউল অসামঞ্জস্যতার ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিভিন্ন স্টেশনে ১০ থেকে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত ট্রেন বসিয়ে রাখা হচ্ছে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, চট্টগ্রাম অভিমুখী ১৪ নং জালালাবাদ ট্রেন শনিবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেই ট্রেন ছেড়েছে রোববার দুপুর ২ টায়। তারপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেই ট্রেন মাইজগাও পৌঁছলে সেখানে থামিয়ে রাখা হয়। অপরদিকে ঢাকা অভিমুখি ১০ নং সুরমা মেইল সিলেট থেকে ছাড়ার কথা শনিবার সন্ধ্যা ৬.৪৫ মিনিটে। কিন্তু সেই ট্রেন ছাড়ে রোববার সকাল ৬ টায়। সেই ট্রেনও মাইজগাও স্টেশনে আটকা পড়ে। প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে একই স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। পরে রাত আটটার সময় ২ ট্রেনকে একত্র করে পাঠানো হয়। আন্তঃনগর ট্রেনগুলো বিলম্বের মধ্যে চলে গেলেও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা। প্রায় স্টেশনে ১০/১২ ঘন্টা বসিয়ে রেখে কচ্চপ গতিতে এগোয় এই ট্রেনগুলো। স্টেশনে পৌঁছে আবারও বসতে হয় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা। যার ফলে সিলেটের আশেপাশের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেনছে মহিলারা ও শিশুরা। এছাড়া এ সকল ট্রেনে আলোর ব্যবস্থাও ভাল নয়। যে কোন সময় মহিলাদের সাথে ঘটতে পারে যে কোন দুর্ঘটনা। চট্টগ্রামগামী জালালাবাদ ট্রেনের যাত্রী সুমন আহমদ জানান, রেল কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার জন্য আমাদের এমন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সিলেট থেকে বিলম্ব কয়রে ট্রেন ছেড়েছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার এই অবস্থা হলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাবো। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সজিব কুমার মালাকার এ বিষয়ে বলেন, বরমচালে দুর্গটনার কারণে ট্রেনের সময়সূচীতে কিছুটা ঝামেলা হচ্ছে। আশা করছি, দু’একদিনের মধ্যে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।   এসটি/ইএন  
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়