Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ৩ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ২০ এপ্রিল ২০২৩

জাফলংয়ে ঘুরতে গিয়ে স্বামীকে খুন, বন্ধু আটক! 

সিলেটের জাফলংয়ে ঘুরতে গিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগে স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একটি রিসোর্টের পাশে পাথর চাপা অবস্থায় স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গেল বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে পৃথক অভিযানে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি  খুশনাহার এবং নাদিম আহমেদ নাঈমকে গ্রেফতার করে। খুশনাহার নিহত ইমরানের স্ত্রী এবং খুশনাহারের পরকীয়া প্রেমিকের বন্ধু বা সহযোগী। 

তিনি নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানার বেলদি গাজীরটেক গ্রামের মো. জিন্নাতের ছেলে। আর খুশনাহার কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার ছেত্রা গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে। নিহত আলী ইমরান কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার গুরই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।

জানা যায়, ইমরানের স্ত্রী খুশনাহারের সঙ্গে মাহিদুল হাসান মাহিন নামে এক তরুণের দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছরের অবৈধ প্রেম চলছে। মাহিন ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জিএম পদে কর্মরত। ইমরানের সঙ্গে গত পাঁচ বছর আগে খুশনাহারের বিয়ে হয়। মাহিনের সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর পর থেকেই খুশনাহার এবং তার প্রেমিক মাহিন বিভিন্ন সময় ইমরানকে হত্যা করার চেষ্টা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় হত্যা করার উদ্দেশ্যে খুশনাহার বেড়ানোর কথা বলে স্বামীকে নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল রাতে ভৈরব থেকে ট্রেনযোগে সিলেটের উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। 

অন্যদিকে একই দিনে প্রেমিক মাহিন ও মাহিনের অফিসে কর্মরত গ্রেফতারকৃত আসামি নাদিম এবং রাকিব নামের এক সহযোগী ঢাকা কমলাপুর থেকে ট্রেনযোগে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পরে গত ১৬ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে জাফলং বল্লাঘাটস্থ ‘রিভারভিউ রিসোর্ট অ্যান্ড আবাসিক হোটেলেরর ১০১ নম্বর কক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে উঠেন ইমরান। এ সময় অন্য তিন আসামি জাফলং বল্লাঘাটের হোটেল শাহ আমিনে অবস্থান করেন।

এদিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে খুশনাহার কৌশলে ‘রিভারভিউ রিসোর্ট অ্যান্ড আবাসিক হোটেল’র তাদের কক্ষের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেন। পরবর্তীতে মাথা ব্যথার ওষুধের কথা বলে রাত ১০টার দিকে ইমরানকে তার স্ত্রী খুশনাহার ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর ইমরান গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলে স্ত্রী খুশনাহার রাত ১২টার দিকে তার প্রেমিক মাহিন ও সহযোগীদের হোটেল কক্ষে নিয়ে আসেন। রাত ২টার দিকে ইমরানের গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুশনাহার ও তার প্রেমিক মাহিন স্বামী ইমরানকে হত্যা। 

এ সময় আসামি নাদিম পর্যটক ইমরানের পা চেপে ধরেন এবং রাকিব নামের একজন রুমের বাইরে পাহারা দেন। ইমরানের মৃত্যু নিশ্চিত হলে রাত ৩টার দিকে সবাই ইমরানের মরদেহ লুকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে হোটেলের পাশে পাথরচাপা দিয়ে রাখেন। পরে রাত সাড়ে ৪টার দিকে তারা হোটেল থেকে বের হয়ে সিএনজিচালিতে অটোরিকশাযোগে সিলেট ছেড়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, স্ত্রীকে নিয়ে সিলেটের জাফলংয়ে ঘুরতে এসে খুন হন ইমরান। প্রেমিক মাহিন ও তার দুই বন্ধুকে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান স্ত্রী খুশনাহার। 

পরে এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারা। তবে প্রেম ঘটিত কারণেই খুন হন ইমরান।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ