Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১১ ১৪৩২

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ৬ মে ২০২১
আপডেট: ০০:১৪, ৭ মে ২০২১

লিবিয়ায় মাফিয়াদের হাতে নির্যাতনের শিকার মাদারীপুরের ২৪ যুবক

সংগৃহীত

সংগৃহীত

মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকার ২৪ যুবককে লিবিয়ায় বন্দী শিবিরে আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। মাফিয়ারা তাদের নির্যাতন করে সেই ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকা দাবি করছে।

নির্যাতিতরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের চাছার গ্রামের শাহিনের ছেলে জনি মিয়া, হাবু হাওলাদারের ছেলে হিফজু হাওলাদার, সরদার কান্দী গ্রামের আলা খার ছেলে মো. আশাদুল খান ও রিপন আকনের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম। বাকি ১৯ জনের বাড়ি মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায়।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, একটি দালালচক্র সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের চাষার গ্রামসহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সহজ-সরল মানুষকে চিহ্নিত করে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে নিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন দেশে মোটা বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে।

অভিযোগ উঠেছে, সদর উপজেলার চাষার গ্রামের জাহিদ খান ইউছুফ নামের এক ব্যক্তি ৪/৫ বছর ধরে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। তার মাধ্যমে প্রায় ৩০০ যুবক লিবিয়ায় গেছে। যাদের অধিকাংশ সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার জাহিদ খান ইউছুফ নামের ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় এনেছে পুলিশ।

জাহিদ খান জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের সংগ্রহ করে প্রত্যেকের সঙ্গে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা চুক্তি করে লিবিয়া পাঠায়। লিবিয়ায় হাত বদল হয় একাধিক মাফিয়া চক্রের কাছে। এক একটি চক্র টাকার জন্য বন্দী শিবিরে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। ওই নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয় পরিবারের কাছে।

মাফিয়াদের চাহিদা মতো যারা টাকা দেয় তাদের সাগর পথে ইতালির উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়। যারা টাকা দিতে দেরি বা ব্যর্থ হয় তাদের ওপর চলে মাসের পর মাস অমানবিক নির্যাতন। জাহিদ খানের মাধ্যমে পাঠানো বেশকিছু যুবক এখনও লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে আটকে রয়েছে।

তার মাধ্যমে যাওয়া ২৪ যুবক গত ৩ মে থেকে লিবিয়ায় মাফিয়াদের হাতে বন্দী। তাদের অনেককে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

লিবিয়ায় আটক হিফজু হাওলাদারের বাবা হাবিব (হাবু) হাওলাদার বলেন, আমি আমার ছেলেকে জাহিদ খান ইউছুফের মাধ্যমে দুই মাস আগে লিবিয়া পাঠাই। তার সঙ্গে আমার ৮ লাখ টাকা চুক্তি হয়। ২ লাখ টাকা আমি ইতোমধ্যে তার কাছে দিয়েছি। বাকি টাকা লিবিয়া যাওয়ার পর দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২ দিন ধরে আমার ছেলেসহ মোট ২৪ জন লিবিয়ার মাফিয়াদের হাতে আটকা রয়েছে। আমি আমার ছেলেকে অক্ষত অবস্থায় দেখতে চাই।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে জাহিদ খান আমাকে বলেছেন- আমি আপনার ছেলেকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করবো।

এ ব্যাপারে জাহিদ খান ইউসুফ বলেন, আমি কোনো লোক পাঠাই নাই। এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, জাহিদ খান ইউছুফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি লিবিয়ায় লোক পাঠানোর কথা আমাদের কাছে স্বীকার করছেন। আমরা আরও তদন্ত করে দেখছি।

আইনিউজ/এসডিপি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ