নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১৩:৪৬, ৯ মে ২০২১
পদ্মায় নৌযান দুর্ঘটনায় ২৬ মৃত্যু: সেই স্পিডবোট মালিক গ্রেফতার

গত ৩ মে পদ্মায় বাল্কহেডের সঙ্গে একটি স্পিডবোটের ধাক্কায় ২৬ জন যাত্রী মারা গেছেন। মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মায় এই স্পিডবোট দুর্ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সেই স্পিডবোটের মালিক চান মিয়া ওরফে চান্দুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (৯ মে) সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান জানান, রোববার বিকেল ৪টায় রাজধানীর কারওযান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ৩ মের দুর্ঘটনায় জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে সোমবার সকাল পৌনে ৭টায় ৩১ যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি ছেড়ে আসে। এ সময় মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ী বাংলাবাজার পুরোনো ঘাটে থেমে থাকা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায় স্পিডবোটটি। এতে সব যাত্রী পানিতে পড়ে যান। পরে নদী থেকে একে একে ২৪ লাশ উদ্ধার করা হয়। ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে আরো দুজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন।
লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করেই পদ্মায় চলতো স্পিডবোট
এ ঘটনায় সামনে এসেছে লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকলেও স্পিডবোটের চলাচল নিয়ে। জানা যায়, স্পিডবোট জেটি বন্ধ থাকার নির্দেশ থাকলেও এসব নিষেধ অমান্য করেই পদ্মায় চলতো এই নৌযান।
লকডাউনের নির্দেশনা ছিলো, স্পিডবোটের জেটি বন্ধ থাকবে। টিকিট বেচাকেনা বা যাত্রী পারাপার করা যাবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নির্দেশনা মানা হয়নি এবং দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ২৬ জন আরোহীর। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসেছে নয় বছরের শিশু মিম এর কান্নাও। মিম বাবা-মা আর দুই বোনের সাথে যাচ্ছিল মৃত দাদার লাশ দেখতে। পরে তার পরিবারের সবাই মৃত্যুবরণ করে। বিস্তারিত...
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাওয়া এবং শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন দুটি পক্ষ। তাদের যোগসাজশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘ম্যানেজ করে’ অবৈধভাবে স্পিডবোটগুলো চলতো বলে জানা গেছে। তারা প্রকাশ্যে টিকিটও বিক্রি করত। কারা এসব কাজে জড়িত তাদের তথ্যও বেরিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ঘাটের ইজারাদার আশরাফ ও তার ছোট ভাইয়ের কাছে ছিল মাওয়া ঘাটের নিয়ন্ত্রণ। কাঁঠালবাড়ি ঘাটের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন শাহ আলম খান।
জনপ্রিয় কিছু গণমাধ্যমের বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ওই এলাকার স্থানীয়দের মন্তব্য। স্থানীয়রা জানাচ্ছে, ইজারাদারদের লোকেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে স্পিডবোট চালাতো। এজন্য প্রতিদিন তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কয়েকজনকে দিতে হতো। অতিরিক্ত টাকা দিতে গিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীও বোটে তুলত তারা। এসবই চলছিল প্রকাশ্যেই। বিস্তারিত...
আইনিউজ/এসডি
- বরিশালে সন্ধ্যা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো হাঙর
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩ ফলাফল : নৌকা ৮৭৭৫৩, হাতপাখা ৩৪৩৪৫
- প্রেমের টানে বরিশালে, ‘দেশি প্রেমিকের’ হাতে মার খেয়ে পালালেন ভারতীয় প্রেমকান্ত
- গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রাপ্ত ফলাফল
- কুড়িয়ে পাওয়া পাঁচ লক্ষ টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজতে এলাকায় মাইকিং
- সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা স্বপ্ন-সোহাগী ঠাকুরগাঁওয়ের গর্ব
- চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা
- বাড়িতে ফোন দিয়ে জানলেন তিনি বাঘের থাবায় মারা গেছেন, চলছে দাফনের প্রস্তুতি
- নির্বাচন ফলাফল লাইভ ২০২৪ | BD election result 2024
- দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মারা গেছেন