Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ১১ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ২৯ মে ২০২১
আপডেট: ২৩:১৫, ২৯ মে ২০২১

তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার আশঙ্কা

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। শনিবার দেখা গেছে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এমন অবস্থায় দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। এদিকে নদীতে পানি বাড়ায় চরের মানুষ নতুন করে আশ্রয় খুঁজতে শুরু করেছেন।

শনিবার লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, শনিবার থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর বেলা ৫টার দিকে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুদিন ধরে উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিঙ্গীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা সিন্দুর্না, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। এতে কৃষকের পাট, কুমড়া, মরিচ, বাদাম, তিল, ধান বিজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

তিস্তা চরের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, নদীতে পানিতে ধানের বীজতলা তলিয়ে গিয়ে বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বর্ষা মৌসুমে ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পানি ও কয়েক দিন টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

আইনিউজ/এসডিপি 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ