Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ০২ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৮ ১৪৩২

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৪৫, ১৪ জুন ২০২১
আপডেট: ২৩:১১, ১৪ জুন ২০২১

প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা: মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিহত তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে রোববার রাত ১২টার পর স্ব স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শাকিলের মরদেহ তার বাবা মেজবা রহমানের কাছে এবং আসমা খাতুন ও তার ছয় বছর বয়সী ছেলের মরদেহ মা হাসিনা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, বাদ জোহর নিহত আসমা খাতুন ও তার ছেলে রবিনের জানাজা শেষে নিজ গ্রাম কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের নাতুড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।

অন্যদিকে নিহত শাকিল খানের নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা কারিগর পাড়া গ্রামের মেছের উদ্দিন দারুল উলুম কওমি মাদরাসায় বাদ জোহর জানাজা শেষে সাঁওতা কারিগর পাড়া গোরস্থানে দাফন করা হবে।

এদিকে এ হত্যার ঘটনায় খুলনা ফুলতলা থানার এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে রোববার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম।

সোমবার বিকেলে সৌমেনকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণসহ রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি-তদন্ত) নিশি কান্তা সাহা।

সৌমেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেন খান জানান, তার স্ত্রী আসমার সঙ্গে শাকিলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। রোববার ভোরে তিনি খুলনা থেকে বাসযোগে কুষ্টিয়ায় আসেন। এ সময় তিনি সার্ভিসের জন্য পাওয়া রিভলভার ও দুটি ম্যাগজিনে ১২টি গুলি সঙ্গে নিয়ে আসেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, বেলা ১১টার দিকে সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রথমে শাকিলকে গুলি করেন তিনি। এরপর আসমাকে গুলি করেন। এ সময় শিশু রবিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও গুলি করেন। একটি ম্যাগজিনের গুলি শেষ হয়ে গেলে আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যবহার করেন।

আইনিউজ/এসডিপি 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়