Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   আশ্বিন ৯ ১৪৩২

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ৭ আগস্ট ২০২১
আপডেট: ১৮:২০, ৭ আগস্ট ২০২১

শরীয়তপুরে বৃষ্টি দমিয়ে রাখতে পারেনি টিকা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ

সারাদেশের মতো শরীয়তপুরেও শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। ইউনিয়ন পর্যায়ের ৬৫টি কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে টিকা কার্যক্রম চললেও বৃষ্টির কারণে ভোগান্তির শিকার হন টিকা প্রত্যাশীরা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শত শত মানুষ টিকা নিতে অপেক্ষা করেছেন। অপেক্ষারতদের মধ্যে বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।

শরীয়তপুর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শরীয়তপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৬৫টি কেন্দ্র এবং পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি কেন্দ্রসহ মোট ৭৪ টি কেন্দ্রে টিকার কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি করে বুথ রাখা হয়েছে এবং প্রতি বুথে ২০০ ব্যক্তিকে টিকা দেয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে ৭৪ হাজার টিকা মজুদ রয়েছে।

শনিবার শরীয়তপুর সদর উপজেলার বালাখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। সকাল থেকেই বৃষ্টিতে ভিজেই মানুষ টিকা কেন্দ্রে আসছেন। টিকা কেন্দ্রের বুথে প্রবেশ করার জন্য তাদের মাঠে লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাদের বসার জন্য স্থানীয় প্রশাসন থেকে চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করতে ও বিশৃংখলা এড়াতে আনসার সদস্যদের নিয়ে টিকা কেন্দ্রে ছিলেন সদরের ইউএনও মনদীপ ঘরাই।

ইউএনও মনদীন ঘরাই বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসলেই সবাই টিকা নিতে পারছেন। ২৫ উর্দ্ধোদের দেয়ার কথা থাকলেও বয়স্ক, নারী ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে টিকা নিতে পারেন তার জন্য লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বৃষ্টি মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। তারপরও টিকা নেয়ার জন্য মানুষের অনেক আগ্রহ। দুপুর ৩টা পর্যন্ত টিকা প্রদান কার্যক্রম চলেছে। 

তুলাসার ইউনিয়নের গুরিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করার পর টিকা দিয়ে বের হয়েছেন আছিয়া বেগম। তিনি বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি না থামায় ভিজেই টিকা কেন্দ্রে চলে এসেছি। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর টিকা নেয়ার সুযোগ পেয়েছি। সহজেই টিকা দিতে পেরে এখন একটু স্বস্তি লাগছে।

শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন আল বিধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, শরীয়তপুরে প্রাথমিক পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রম শনি ও রোববার করা হবে। শনিবার যে সকল ইউনিয়নে ইপিআই এর কার্যক্রম ছিলো সেখানে করোনার টিকা কার্যক্রম রোববার চালানো হবে। আইডি কার্ডের ফটোকপি রেখে টিকা দেয়া হয়েছে। তাদের ছাপানো টিকা কার্ড দেয়া হয়েছে, ২৮ দিন পর ওই কার্ড নিয়ে আসলে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হবে।

শরীয়তপুর জেলায় এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯৫ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৬২ জন মারা গেছেন।

আইনিউজ/ হারুন-অর-রশিদ/এসডিপি 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ