আই নিউজ প্রতিবেদক
চতুর্থ দফা অবরোধ: ঢাকাসহ আশেপাশে ৫টি বাসে আগুন

দুর্বৃত্তদের লাগানো আগুনে পোড়ে যাওয়া একটি বাস। ছবি- সংগৃহীত
বিএনপি-জামায়াতের চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন আজ। তবে, অবরোধের প্রথম দিন ঢাকা ও আশেপাশের জেলায় ৫টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গেল ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দেশে শুরু হওয়া টানা হরতাল, অবরোধ কর্মসূচিতে কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা। গতকাল রোববারও ঢাকায় তিনটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর জানা যায়।
রোববার (১২ নভেম্বর) ভোরের দিকে ঢাকার সূত্রাপুরে বাসে আগুন দেওয়া হয়। এরপর দুপুরে মিরপুরে আরেকটি বাসে আগুন লাগানোর খবর আসে। রাতে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় তৃতীয় বাসে আগুন দেওয়া হয়।
অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধে বাসের যাত্রীদের ছবি তুলে রাখাসহ ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া কোনো যাত্রী উঠা-নামা না করা, প্রতিটি স্টপেজে যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা, বাসের দুই দরজা থাকলে পেছনের দরজা বন্ধ রাখা, রাতে বিচ্ছিন্নভাবে বাস পার্কিং না করা ইত্যাদি।
অবরোধকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধকে কেন্দ্র করে নাশকতা এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবিও কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ, পিকেটিং এর মতো কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এতে কোথাও কোথাও পুলিশের সাথে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার খবরও পাওয়া যায়। সিলেটেও বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কে বিক্ষিপ্তভাবে অবরোধের চেষ্টা করছেন। শনিবার সিলেটে নগরী থেকে পিকেটিং এর সময় এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। মৌলভীবাজারেও প্রায় ৪০ জনের মতো বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে চতুর্থ দফার অবরোধের মধ্যে রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা সোয়া একটার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশেই একটি স্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলছিল। কিছু পুলিশ সদস্যও সেখানে উপস্থিত ছিলেই। কেননা, যেখানে বাসে আগুন দেওয়া হয়, এর মাত্র একশ গজ দূরেই অবস্থান ছিল ট্রাফিক পুলিশের একটি কার্যালয়। তাছাড়া, একই সময়ে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন ওই এলাকায় চলছিল বিধায়, পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তাও দেওয়া হয়েছিল।
প্রজাপতি পরিবহণ নামের এই বাসটিতে যখন আগুন দেওয়া হয় তখনো বাসটিতে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। যারা আগুন দিয়েছেন তারাও যাত্রী বেশে এই বাসে ওঠেছিলেন। পরে আগুন লাগিয়ে তারা পালিয়ে যান। মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। অগ্নিসংযোগকারীদের শনাক্ত করা যায়নি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
-
কারখানা চালাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চান বিজিএমইএ নেতারা
-
মিরপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে পোশাক শ্রমিকরা
যাত্রীদের ছবি তুলে রাখার নির্দেশনা
অবরোধ কর্মসূচির মাঝে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা। এমন অবস্থায়, অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধে বাসের যাত্রীদের ছবি তুলে রাখাসহ ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া কোনো যাত্রী উঠা-নামা না করা, প্রতিটি স্টপেজে যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা, বাসের দুই দরজা থাকলে পেছনের দরজা বন্ধ রাখা, রাতে বিচ্ছিন্নভাবে বাস পার্কিং না করা, উন্মুক্ত স্থানে বাস রাখলে নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবসস্থা করা, রাতে পরিবহণশ্রমিকদের বাসের ভেতরে না ঘুমানো এবং বাসে সচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের