Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫,   পৌষ ১৬ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মারা গেছেন

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আর নেই। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দলীয় সূত্র জানায়, ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। সর্বশেষ নতুন করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত প্রায় এক মাস ধরে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মৃত্যুর সময় তাঁর পাশে ছিলেন ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান, নাতনী জাইমা রহমান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

এর আগে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘সংকটময়’ বলে জানানো হলে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন ধরে বহু নেতাকর্মী ও সমর্থক এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। একই সময়ে সরকারের একাধিক উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও হাসপাতালে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

প্রসঙ্গত, শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ২৩ নভেম্বর জরুরি ভিত্তিতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন, ২১ নভেম্বর, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা হওয়ার সময় গাড়িতে উঠেই তিনি অসুস্থতা অনুভব করেন।

বহু বছর ধরেই তিনি লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। ২০২১ সালের মে মাসে নিজের বাসায় অবস্থানকালেই তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং শ্বাসকষ্টজনিত কারণে করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসা নিতে হয়।

এরপর ২০২৪ সালের জুনে তাঁর হৃদপিণ্ডে পেসমেকার স্থাপন করা হয়। একই সময়ে হার্ট, কিডনি ও লিভারের জটিল সমস্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। আগে থেকেই তাঁর হৃদপিণ্ডে তিনটি ব্লক ছিল এবং একটি রিং পরানো হয়েছিল। এছাড়া ২০২৪ সালের জুনে বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে পোর্টো-সিস্টেমেটিক অ্যানেসটোমেসিস পদ্ধতিতে তাঁর লিভারের চিকিৎসাও করা হয়।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। পরবর্তীতে দুর্নীতির আরেকটি মামলায়ও তাঁকে সাজা দেওয়া হয়। কারাবন্দি অবস্থায় বিশেষ ব্যবস্থায় এবং পরে হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরবর্তীতে নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে তিনি গুলশানের নিজ বাসভবনে ওঠেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে সব দণ্ড থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি দেওয়া হয়।

ইএন/এসএ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়