Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৬ ১৪৩২

মাসুদ পারভেজ

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আপডেট: ১৯:৩৪, ৪ মার্চ ২০২৪

পিতার সমাধিসৌধ টুঙ্গিপাড়ায় একদিন

টুঙ্গিপাড়ার সবুজ গাঁয়ে একটি খোকার বাড়ি;
স্বপ্ন মনে আকাশ ছোঁয়া, পাতাল দেবে পাড়ি।

(টুঙ্গিপাড়ার খোকা: আল আমিন মুহাম্মাদ)


মেহেরপুরের মুজিবনগর সরকারের সাফল্য, ইতিহাস এবং কীর্তিগাঁথায় আবিষ্ট হয়ে যখন গোপালগঞ্জের দিকে রওনা হলাম তখন ভেতরে ভেতরে উত্তেজনা বোধ করছিলাম। চেপে রাখার চেষ্টা করছি কিন্তু সফলভাবে পারছি না। পথের সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতিকালে খানিকটা প্রকাশও হয়ে গিয়েছিল বোধহয়। 

বহু বছর আগে শেখ বোরহান উদ্দিন নামে এক ধার্মিক পুরুষ টুঙ্গিপাড়ার মধুমতী নদীর তীরে শেখ বংশের গোড়াপত্তন করেন। তাঁরই বংশধর জমিদার শেখ কুদরত উল্লাহ মোগল আমলে একটি বাড়ি গড়ে তোলেন। ইতিহাস আর ঐতিহ্য মাথায় নিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে সে বাড়ি মূল সমাধিসৌধের একটু দূরে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে।

গোপালগঞ্জের তথ্য অফিসার যখন আমাদের আগে থেকে অর্ডার করে রাখা পুষ্পস্তবক পৌঁছে দিলেন তখন আমরা যারা টুঙ্গিপাড়ায় যাইনি তাদের উত্তেজেনা আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। বঙ্গবন্ধুর শৈশবের বাইগার নদীর কূল ঘেষে ছায়া-ঘেরা, সবুজ জনপদ টুঙ্গিপাড়ায় যখন পৌঁছলাম তখন বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ ঘিরে ছিল মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। ইলশেগুড়ি বৃষ্টি আর রৌদ্দের মাঝে রূপোর মতো ঝিকমিক করা বাইগার নদীর পানি, তার তীরে নিয়ে গেল। কল কল ছন্দে ঢেউ তুলে বয়ে চলেছে ছোট্ট নদীটি। দৃষ্টিনন্দনভাবে বাঁধাই করা পাড়ে বসে জলে পা ডুবিয়ে চোখ বন্ধ করে বুক ভরে নিশ্বাস নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবে ডুব দিলাম।  যেখানে খোকা বন্ধুদের সাথে নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে, মেঠো পথের ধুলোবালি মেখে, বর্ষার কাঁদা, পানিতে ভিজে উল্লাসে মেতে আছেন।

কবিরত্ন বিজয় গুপ্তের পদ্মাপুরাণ কাব্যের ঘাগোর আর মধুমতি নদীর  যৌথ প্রবাহে, এ অঞ্চলের অপরূপ সৌন্দর্যের কথা বলেছেন। এখনকার  টুঙ্গিপাড়ার সারি সারি গাছগুলো কবিরত্নের বর্ণনার বড় বড় পালতোলা পানশি, কেরায়া নৌকার সে সব স্মৃতি ভুলিয়ে দেবে। বর্ষায় শিল্পীর আঁকা আবহমান বাংলার সে রূপ আগস্টে না পেলেও নদীর ওপর বিশাল আকাশ, আকাশে মেঘের খেলা সবই মুগ্ধ করল আমাদের।

দু’পাশে সবুজ গ্রাম, ফসলী জমি, কোলাহলমুক্ত খোলা প্রান্তর, ডানা মেলা পাখি, মাছ ধরা ছোট্ট নৌকা কিংবা গরুর পাল ভুলিয়ে দেবে আপনাকে যান্ত্রিক তাণ্ডব। এ নয়নাভিরাম প্রকৃতিতে জড়িয়ে আছে জাতির পিতার শৈশব ও কৈশোরের অমূল্য স্মৃতি। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে দর্শনার্থীরা যখন টুঙ্গিপাড়ায় প্রবেশ করে, তখনই চোখে পরে বঙ্গবন্ধু গেট। যার দুপাশে ভাস্কর মৃণাল হকের পরশে বঙ্গবন্ধুর রঙিন ছবি। তা যেন হাসিমুখে বরণ করে নেয় যে কাউকে। মাইল খানেক পথ পেরুতেই দেখা মিলবে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স।

জাতির পিতার সমাধিসৌধের গেটে পৌঁছে দু’ধরনের অনুভূতি নাড়া দিল আমাকে। টুঙ্গিপাড়ার নদী, কাঁদা, জল, মেঠে পথ, ধুলোবালি, গাছপালা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য স্থান জনকের স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিয়ে গেল। একই সাথে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত বেদনার আঘাত বুকে তীরের মতো বিদ্ধ করল। যে পিতা আমাদের দেশ দিয়েছেন, ভাষা দিয়েছেন, স্বাধীনতা দিয়েছেন- তাঁরই হন্তারক হিসেবে নিজেকে খুবই হীন মনে হচ্ছিল। পরস্পর বিপরীতধর্মী অনুভূতি হৃদয়ে তোলপাড় করতে লাগল। জনকের কীর্তিতে শির উন্নত হলো আর আমাদের কর্মে লজ্জায় মাথা নিচু হলে গেল। বঙ্গবন্ধুর ছিল দেশের মানুষের প্রতি অঢেল ভালোবাসা। তিনি সকলকেই অন্ধের মতো বিশ্বাস করতেন। তিনি কখনও এটা ভাবতেও পারেননি যে, কোন বাঙালি তাঁর ওপর গুলি চালাতে পারে বা তাঁকে হত্যা করতে পারে। তাঁকে বাঙালি কখনও মারবে না, ক্ষতি করবে না- এ বিশ্বাস নিয়েই তিনি চলতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, সে বিশ্বাসের কি মূল্য তিনি পেয়েছিলেন? যে বুকে বাংলার মানুষের জন্য প্রচণ্ড ভালোবাসা ছিল, সে বুকটাই ঝাঁঝরা করে দিল তাঁরই প্রিয় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কিছু দুর্বৃত্ত। পৃথিবীর অনেক নেতাই তাঁকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তিনি বলেছেন, ওরা তো আমার ছেলে, আমাকে কেন মারবে? এত বড় বিশ্বাস ভঙ্গ করে ওরা বাঙালির ললাটে কলঙ্ক লেপন করল।

কী বিচিত্র এ দেশ! একদিন যে মানুষটির একটি ডাকে এদেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় এনেছিল, বীরের জাতি হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে মর্যাদা পেয়েছিল, এ হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে সে জাতি সমগ্র বিশ্বের কাছে বিশ্বাসঘাতক জাতি হিসেবে পরিচিতি পায়। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে দেশ ও জাতি হারায় তাদের বেঁচে থাকার সকল সম্ভাবনা, আশা-আকাঙ্ক্ষার স্বাধীন সত্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। হৃদয়ের বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠল।

দাঁড়াও পথিক বর।
যথার্থ বাঙালি, যদি তুমি হও, ক্ষণিক দাঁড়িয়ে যাও,
এখানে ঘুমিয়ে আছেন বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা.....

এমনি কবিতায় দৃষ্টি নিবদ্ধ হবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের এক নম্বর গেটে। গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূরে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাদপুরুষ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধটি  অবস্থিত। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ মার্চ সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ এ সমাধিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সমাধিসৌধের উদ্বোধন করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাইগার নদীর পাড়ে প্রায় ৩৯ একর জমির উপর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ নির্মাণ করে।

প্রবেশদ্বারে স্বাগত জানাবে কবি সৈয়দ ফখরুদ্দিন মাহমুদের পাথরে খোদাই করা ‘একটি অমর সমাধি’ কবিতাটি। কয়েক কদম সামনে জাতির পিতার হাজারো স্মৃতি ঘেরা স্থিরচিত্র সংবলিত জাদুঘর। যেখানে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় শৈশব থেকে আমৃত্যু স্মৃতি বিজড়িত সব স্থিরচিত্র। চিত্রকর্মে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের নানা পর্যায়ের আলোকচিত্র ছাড়াও রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন শিল্পীর আঁকা শিল্পকর্ম। এ ছাড়াও মুক্তিসংগ্রামের নানা পর্যায়ের দেশ ও বিদেশ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্র। দু’তলা জাদুঘরের নিচতলায় রয়েছে পাঠাগার। পাঠাগারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বইসহ প্রায় ছয় হাজার বই রয়েছে। এরমধ্যে সাত ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর স্ব লিখিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী সবচেয়ে আকর্ষণীয়। বঙ্গবন্ধুকে যে কফিনে করে ঢাকা থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হয়েছিল, সেটিও সংরক্ষণ করা হয়েছে সযত্নে। এ পাঠাগার থেকে দর্শনার্থীরা তাদের জানা-অজানা বঙ্গবন্ধুকে উন্মোচন করে আবেগে আপ্লুত হন। 

ভেতরে একটি চত্বর ঘিরে মসজিদ, পাঠাগার, পাবলিক প্লাজা, প্রশাসনিক ভবন, গবেষণাকেন্দ্র, প্রদর্শনী কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, বকুলতলা চত্বর, উন্মুক্ত মঞ্চ, স্যুভেনির কর্নার, ফুলের বাগান এবং কৃত্রিম পাহাড় রয়েছে । এগুলো পেরিয়ে দু’পাশে বাগানের মাঝে পাকা সরু পায়ে চলাপথ। মাঝামাঝি অংশে হাতের বামে একটি পাকা ঘাটওয়ালা পুকুর পড়বে- এটা শেখ পরিবারের ঐতিহ্যবাহী বড় তালাব (পুকুর)। যেখানে স্থানীয় পৌরসভার মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করা হচ্ছে পুকুরটি, যার চারিপাশে আছে নানান ধরনের গাছ। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রিয় হিজল ও তমাল আকর্ষণীয়। রাস্তাটির শেষ প্রান্তে মূল সমাধিসৌধ। তার আগে একটি ফোয়ারা- যেখান থেকে কাঁন্নার মতো অবিরত ঝড়ছে বারি। একটু এগুলেই বর্গাকার বাম পাশে এক-কোঠা বিশিষ্ট সমাধি ভবন। এ মাটির প্রতি স্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ, ঘ্রাণ;  এর প্রতিটি কোণে জড়িয়ে আছে তাঁর স্মৃতি। বঙ্গবন্ধুকে চোখে দেখিনি। তাই এখানে এসে তাঁর শৈশবের ক্রীড়াপীঠ, আদিবাড়ি, হিজলতলাঘাট, লাইব্রেরি, জাদুঘরসহ স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থান সে বঙ্গবন্ধুকে চিনতে; তাঁর শৈশব-কৈশোরকাল সম্পর্কে অনুধাবন করতে সাহায্য করবে।

গ্রিক স্থাপত্য শিল্পরীতির ছোঁয়ায় লাল সিরামিকের ইট এবং সাদা-কালো টাইলসে সমাধিসৌধটি যেন হয়ে উঠেছ বেদনার প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশেই রয়েছে তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান এবং মা সায়েরা খাতুনের কবর। এ তিন কবরকে ঘিরেই মূল টম্ব নির্মাণ করা হয়েছে। বহিরাবরণ হিসেবে সাদা রঙের মার্বেল, গ্রানাইট ও স্বচ্ছ কাচ ব্যবহার করা হয়েছে। চারদিকে খিলানাকার জানালাগুলো জালি দিয়ে বন্ধ। ছাদে রয়েছে আধা চাঁদের আকৃতির গম্বুজ। পূর্বদিকে রয়েছে প্রবেশ দরজা। গম্বুজের দেয়াল জাফরি কাটা, আর এ জাফরি কাটা অংশ দিয়েই সমাধিস্থলে সূর্যের আলো প্রবেশ করে কাচের কারুকাজের মধ্য দিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দর্শনার্থীদের জন্য কমপ্লেক্স খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।  

বহু বছর আগে শেখ বোরহান উদ্দিন নামে এক ধার্মিক পুরুষ টুঙ্গিপাড়ার মধুমতী নদীর তীরে শেখ বংশের গোড়াপত্তন করেন। তাঁরই বংশধর জমিদার শেখ কুদরত উল্লাহ মোগল আমলে একটি বাড়ি গড়ে তোলেন। ইতিহাস আর ঐতিহ্য মাথায় নিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে সে বাড়ি মূল সমাধিসৌধের একটু দূরে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ বাড়ির একটি ঘরেই ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ে এ বাড়ি সম্পর্কে লিখেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থেও তার বর্ণনা দিয়েছেন। এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে দালানের ধ্বংসাবশেষ। ১৯৭১ সালে যে দুটো দালানে বসতি ছিল, পাকিস্তানি হানাদাররা আগুন দিয়ে সে দুটোই জ্বালিয়ে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর স্মৃতির দখিন দুয়ার প্রবন্ধে বলেছেন, ‘‘আমাদের বসতি প্রায় দুশো বছরের বেশি হবে। সিপাহী বিপ্লবের আগে তৈরি করা দালান-কোঠা এখনো রয়েছে। আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা সেখানে বসবাস করেন। তবে বেশিরভাগ ভেঙে পড়েছে, সেখানে এখন সাপের আখড়া। নীলকর সাহেবদের সঙ্গে আমাদের পূর্বপুরুষদের অনেক গোলমাল হতো। মামলা-মোকদ্দমা হয়েছে। ইংরেজ সাহেবদের সঙ্গেও গণ্ডগোল লেগেই থাকত। একবার এক মামলায় এক ইংরেজ সাহেবকে হারিয়ে জরিমানা পর্যন্ত করা হয়েছিল। ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে সেই ভাঙা দালান এখনো বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে।’’
ঘাতকের দল বাংলার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা থেকে সরিয়ে সেই মহাপুরুষকে নিভৃতে এ বাড়ির আঙিনায় কবর দিয়েছে। ইতিহাসের পাতা থেকে তাঁকে মুছে ফেলার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছে- কিন্তু পেরেছে কি? 

যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান 
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।

কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের এ কবিতা বাস্তব প্রমাণ মেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে। প্রতিদিন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে টুঙ্গিপাড়ায়। তাদের স্মৃতির মণিকোঠায় অবিনশ্বর হয়ে বেঁচে আছে থাকবেন বঙ্গবন্ধু। বাঙ্গালি জাতির পিতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি। শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি বাঙালিদের শিখিয়েছেন কীভাবে বুক উঁচু করে বেঁচে থাকতে হয়। 

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়