Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ০৯ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৬ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:০২, ১৬ এপ্রিল ২০২১
আপডেট: ১১:০২, ১৬ এপ্রিল ২০২১

রোজার মধ্যে চার তলায় না উঠায় ফুডপান্ডা রাইডারকে মারধর

আব্দুল লতিফ একজন ফুডপান্ডার রাইডার। লকডাউনেও ডেলিভারি দিচ্ছেন কাস্টমারদের অর্ডার দেওয়া ফুড। এর মাঝে রমজান মাসের রোজাও থাকছেন। 

এই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আব্দুল লতিফকে ধরে মারধর করছেন এক ব্যক্তি। পরে জানা যায়, রোজা থাকার কারণে বিল্ডিংয়ের চার তলায় না উঠে নিচে থেকে ফুড ডেলিভারি দিতে চাওয়ায় ক্ষেপে যান ওই কাস্টমার, আর তাতেই এই মারধর!

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ।

এর আগে, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে সাভার পৌরসভার বনপুকুরের মালঞ্চ আবাসিক এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় পাশের ভবনে থাকা এক ব্যক্তি ভিডিওটি করেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়ালে ধীরে ধীরে ভাইরাল হতে শুরু করে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মারধর করা সেই ব্যক্তির নাম সাইদুর রহমান সুজন। তার বনপুকুরের মালঞ্চ আবাসিক এলাকায় একটি ইলেকট্রনিকস দোকান রয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ৩ মিনিট ৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি সাইকেল নিয়ে ফুডপান্ডার রাইডার লতিফ দাঁড়িয়ে আছে। সুজন নামে সেই ব্যক্তি গালিগালাজ করছে। একপর্যায়ে মারধর শুরু করেছেন। প্রথমে কয়েকটি থাপ্পড় মারার পর একটি নারী এসে লতিফকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পরক্ষণে কথায় কথায় আবার মারধর শুরু করেন৷ পরে সুজনের সাথে থাকা আরেক ব্যক্তি লতিফকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন৷

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লতিফ বলেন, বুধবার প্রথম রোজার দিন সুজন নামে এক ব্যক্তি খাবারের অর্ডার দিয়েছেন। আমি খাবার নিয়ে গিয়েছি। তিনি চার তলা যেতে বলেছিলেন, আমি রোজা ছিলাম- তাই যেতে চাইনি। পরে এসে নানা গালিগালাজ করে আমাকে মারধর করেন। আমার এই বিষয়টি ফুডপান্ডা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে সাইদুর রহমান সুজন বলেন, আমি কাল ৫.১৫ মিনিটের দিকে একটি হালিমের অর্ডার দিয়েছিলাম। উনি আমার ভবনের সামনে এসে ফোন করেন। আমি তখন বলি, ভাই আমি একটু অসুস্থ আপনি খাবারটা একটু চার তলায় এসে দিয়ে যান। আমার পায়ে একটু অসুবিধা আছে, আমাকে একটু দিয়ে গেলে উপকার হবে। পরে সে বলে দেওয়া যাবে না। পরে আমি তাকে বলি, কোনোভাবে কি অর্ডার ক্যান্সেল করে দেওয়া যায় কিনা। তখন তিনি আমাকে বাজেভাবে বকা দেয়। আমার কথাটা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। পরে আমি নিচে নেমে তাকে সরি বলতে বলি, সে বলেনি। এর জন্য রাগ হয় আমার। এই হলো ঘটনা।

এ বিষয়ে ফুডপান্ডার সাভার জোনের এক কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি নাম প্রকাশ করার না শর্তে বলেন, আসলে বিষয়টি আমাদের হেড অফিসকে জানানো হয়েছে। আমরা এখনো সাভার জোন থেকে কোন আইনি কার্যক্রমে যাইনি। হেড অফিস যা করবে তাই হবে।

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়