সিনিয়র প্রতিবেদক, আইনিউজ
‘ঝিমুনি’ রোগে আক্রান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী!
বিএসএমএমইউ চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সফরে বাদ পড়ার পর থেকে ফের গুঞ্জন ওঠে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে নিয়ে। অনেকেই বলতে থাকেন সম্প্রতি বেফাঁস মন্তব্য করায় হয়তো সফর থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাঁকে। যদিও পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছিলেন হঠাৎ শারিরীক অসুস্থতার কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল হয়েছে।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শারিরীক সমস্যাটি আসলে কী সেসময় তা সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। এবার জানা গেলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসলে অসুস্থতা কি ধরনের। উচ্চ রক্তচাপ ও ভার্টিগো (ঝিমুনি) জনিত অসুখ বেড়ে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি বিএসএমএমইউ'র কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. ফজলুর রহমানের চেম্বারে যান। হার্ট ফেইলর ক্লিনিকের প্রধান প্রফেসর ডা. চৌধুরী মেশকাত আহমেদ এবং এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. আবুল হাসনাত এসময় উপস্থিত ছিলেন। তারা মন্ত্রীর শারীরিক চেক-আপ করেন। চিকিৎসকের পরামর্শে মন্ত্রীর ইকো-কার্ডিওগ্রাম এবং রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এসব পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
- বেফাঁস কথা বলে ভারত সফর থেকে বাদ পড়লেন মোমেন?
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হলোনা প্রধানমন্ত্রীর!
মন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শেখ ফয়েজ আহমেদ জানান, রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় অসুস্থবোধ করলে আমি তাকে দেখতে যাই। ওই সময় তার রক্তচাপ কিছুটা অস্বাভাবিক ছিল এবং তার ভার্টিগো হচ্ছিল। তিনি জার্নি করার মতো অবস্থায় ছিলেন না। এর আগে গত মার্চ মাসে তুরস্ক থেকে ঢাকা আসার পথে মন্ত্রী মহোদয় একই সমস্যার কারণে প্লেনে অজ্ঞান হয়ে যান।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চারদিনের সফরে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনেরও ভারতে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি সফরে অংশ নেননি। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর বাতিলের বিষয়টি প্রকাশ পায়।
সাম্প্রতিক আলোচনায় যেভাবে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
গত ১২ আগস্ট মন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বোঝাতে গিয়ে সিলেটের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে; একটি পক্ষ প্যানিক ছড়ানোর জন্য এমন কথা বলে।’
মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে তুমুল সমালোচনা ও ট্রলের মধ্যে ১৪ আগস্ট সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি তো ট্রু সেন্সে (আক্ষরিক অর্থে) বেহেশত বলিনি। এটা ছিল কথার কথা। কিন্তু আপনারা তো সবাই মিলে আমারে খায়া ফেললেন।’
এ নিয়ে সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’
তার এই বক্তব্য ব্যাপক সমালোচনা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরই দেন বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
ঢাকায় জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, ‘যিনি এ কথা বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। এটি আমাদের সরকারেরও বক্তব্য না, দলেরও বক্তব্য না। এই বক্তব্যের কারণে ভারতও লজ্জা পাবে।’
‘কীভাবে আমরা এই কথা বলি! বন্ধু বন্ধু আছে। অহেতুক কথা বলে এটি নষ্ট করবেন না’- আরও বলেন বিস্মিত আওয়ামী লীগ নেতা।
এর মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আবার কথা বলেন। গোপালগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি সাংবাদিকদেরকে তার আগের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ভারতেরও মঙ্গল।
সেদিন তিনি বলেন, ‘আমি ভারত সরকারকে বললাম, আপনার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে শেখ হাসিনা থাকায় স্থিতিশীলতা এসেছে। এই স্থিতিশীলতা আসায় আমাদের দেশেরও মঙ্গল হচ্ছে, আপনার দেশেরও মঙ্গল হচ্ছে। আপনার দেশেও ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হচ্ছে। সুতরাং স্থিতিশীলতা সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট। রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা খুব দরকার। তাতে আপনার দেশেরও মঙ্গল হবে, আমাদের দেশেরও মঙ্গল হবে।’
মন্ত্রীর এসব বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নেতারা সরকারকে আক্রমণ করছেন এই বলে যে, মন্ত্রী সত্য কথা বলে দিয়েছেন। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ ভারতের অনুগ্রহে ক্ষমতায় থাকে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারের জন্য বিব্রতকর বক্তব্য থামছিলই না। মিয়ানমারের গোলা বাংলাদেশ সীমান্তে পড়ার বিষয়ে শনিবার তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা বাংলাদেশে জঙ্গল এলাকায় পড়েছে। সেগুলো বিস্ফোরিত না হওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এটি গুড নিউজ।’
আইনিউজ/এইচএ
আইনিউজে আরও পড়ুন-
- ২০ হাজার গানের জনক গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও তার কীর্তি
- প্রেম-ভালোবাসার ১০ উপকারিতা : শ্রেষ্ঠ কিছু প্রেমের গল্প
- কোমরে বাশি, হাতে তালি — গানই মদিনা ভাই’র জীবন-মরণ
দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি
সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের দেশ ।। Most beautiful woman in the world ।। Eye News
যে গ্রামে পুরুষ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছেন নারীরা | Women are pregnant without men | Kenyan Girls | Eye News
চুল বেঁধে ঘুমিয়ে নিজের যে ক্ষতি করছেন ।। Hair loss problems
পায়খানা ও প্রস্রাব দীর্ঘক্ষণ চেপে রাখলে যে ক্ষতি হয়??
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের